ডালিয়ার খিচুড়ির উপকারিতাএখন অনেকেই সুস্থ থাকতে ভাত খাওয়া কমিয়ে ওটস-কিনোয়া এইসব খাবারের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছেন। এখন বাড়িতে বাড়িতে ওটস খাওয়ার চল ভীষণভাবে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু ওটসের পাশাপাশি ডালিয়াও যে ভীষণভাবে উপকারী শরীরের জন্য, এটা অনেকেই জানেন না। এতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন, প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই ব্রেকফাস্টে নিয়মিত ডালিয়ার খিচুড়ি খেলে শরীর শরীর তো সুস্থ থাকবেই। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে। মিলবে আরও বেশ কিছু উপকার।
পেশির শক্তি বাড়ায়
ডালিয়ায় রয়েছে অনেকটা পরিমাণে প্রোটিন। তাই এই খাবারটি খেলে দেহে প্রোটিনের চাহিদা অনায়াসে পূরণ হয়ে যায়। এমনকী এর থেকে পেশির শক্তিও বাড়ে। মাসল-মাসের ভারসাম্য ফেরে। এছাড়া এতে উপস্থিত প্রোটিন কিন্তু ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজেও লাগে। তাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সময় ডালিয়া হতে পারে আপনার হাতের কাছে থাকা রোগ প্রতিরোধের হাতিয়ার। আশা করছি, নিয়মিত ডালিয়ার খিচুড়ি খেয়েই আপনার প্রোটিনের চাহিদা মিটে যাবে। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবেন।
ওজন কমে
ওজন কমানের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করতেও অনেকে পিছ পা হন না। জিমে ঘাম ঝরিয়ে, দামি দামি সব খাবার খেয়ে তাঁরা মাসে ১ কিলো কমাতে পারেন না। আপনিও কি সেই দলেরই পথিক? তাহলে কানে কানে একটা খবর দিই শুনুন, ডালিয়া খেলেও কিন্তু ওজন দ্রুত গতিতে ঝরে যায়। এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার যা বিপাকের হার বাড়ায় ও পেট ভর্তি রাখে। তাই কম সময়েই ওজন কমে। আর সবথেকে বড় কথা ডালিয়ার দামও সাধ্যের মধ্যে।
ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন
ডায়াবিটিস রোগীদের হাজার খাবারে মানা। তবে চিন্তা নেই মশাই, ডালিয়া খেতে আপনাদের কেউ মানা করবে না। বরং সকলেই আপনাদের এর খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। সামান্য ডাল ও সবজি সহযোগে এর খিচুড়ি বানিয়ে খেয়ে নিন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, ডালিয়াতে রয়েছে কমপ্লেক্স কার্ব। তাই এই খাবার খেলে রক্তে সুগার বাড়ে না। এমনকী সুগার স্পাইক রোধ করতেও সাহায্য করে এই খাবার। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা নিয়মিত ডালিয়া খান।
এনার্জি পাবেন
অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কাজে মন বসাতে পারেন না? এরপর থেকে এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হলে ডালিয়া খেয়ে নিন। এতে রয়েছে এনার্জির ভাণ্ডার। ফলে দেহে চটজলদি শক্তি মেলে। মনে রাখবেন, এতে থাকা কার্ব ও প্রোটিন কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর। শরীর এই সকল উপাদান ভেঙে নিজের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগার করে ফেলে। তাই কম সময়ের মধ্যে দেহে আসে এনার্জির জোয়ার। সুতারাং এরপর থেকে দেহে এনার্জির ঘাটতি হলে ডালিয়ার খিচুড়ি হতে পারে আপনার পছন্দের খাবার।
পেট ভাল রাখে
মনে রাখবেন, ডালিয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্ব ও ফাইবার। এই দুই উপাদান অন্ত্রের খেয়াল রাখে। এমনকী কোলোনে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের মতো জটিলতায় ভুগলে অবশ্যই ডালিয়াকে নিত্যদিনের ডায়েটের রুটিনে আনুন। আশা করছি পেটের স্বাস্থ্য ফিরবে।