
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো একবারে দোরগোড়ায় উপস্থিত। হাতে আর মাত্র ২ দিন। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে পুজো নিয়ে উত্তেজনা।
তবে এই সময়ও মুখ বেজার করে বসে আছেন কিছু মানুষ। কারণ তাঁদের মুখে এখনও ভিড় করে রয়েছে ব্রণ। হাজার চেষ্টা করার করার পরও তাঁরা অ্যাকনের থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না। যার ফলে তাঁদের মনে উদয় হওয়া পুজো পুজো আমেজটাই মাটি হয়ে যাচ্ছে।
যদিও ব্রণ নিয়ে এত ভাবনা চিন্তা করতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চিন্তা করলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাবে। যার ফলে ব্রণ কমবে তো না, উল্টে বাড়বে। তাই টেনশন ফ্রি হয়ে আমাদের এই নিবন্ধ থেকে এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন, যেগুলি অনায়াসে কমাতে পারবে ব্রণ। আসুন সেগুলি ঝটপট জেনে নেওয়া যাক।
টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন
এই তেলের রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ। যার ফলে এটি ব্যবহার করলে খেলা শেষ হয়ে যাবে ব্রণ সৃষ্টিকারী পি.অ্যাকনে ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে আপনি মুক্তি পাবেন ব্রণর সমস্যা থেকে। তাই আজ থেকেই তেল ব্যবহার করা শুরু করে দিন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে ভুললে চলবে না
এই সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। আসলে এতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া নিধনে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই অ্যাসিডের গুণে প্রদাহও কমবে। তাই আজই ব্যবহার করুন এই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার।
অ্যালোভেরাই সেরার সেরা
ত্বককে ভালো রাখার কাজে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। তাই ব্রণর সমস্যা সমাধানে অনায়াসে এর শরণাপন্ন হতে পারেন।
আসলে এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ রয়েছে। যার ফলে এটি মুখে লাগালে অনায়াসে উপকার মিলবে। উবে যাবে ব্রণ। এমনকী ত্বকের লাবণ্য ফিরবে।
গ্রিন টি-তে ভরসা রাখুন
আসলে গ্রিন টি-তে পলিফেনল অক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই কমাবে প্রদাহ। পাশাপাশি এতে মজুত একাধিক উপাদান ব্যাকটেরিয়ার খেলাও শেষ করে দেবে।
এখানেই শেষ নয়, গ্রিন টি মুখের ত্বককেও সুরক্ষিত রাখতে পারে। ফেরায় ত্বকের জেল্লা। তাই আজ থেকেই গ্রিন টি ব্যবহার করুন মুখে।
মধুকেও রাখুন তালিকায়
ব্রণর সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন মধু। এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনায়াসে মুখের বুঁজে থাকা পোরসগুলিকে মুক্ত করবে। যার ফলে কমে যাবে ব্রণর সমস্যা।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।