শীতের মরশুমে স্বাস্থ্যের অনেক উত্থান পতন ঘটে। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েন। তাই শীতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ডিম দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, অমলেট বা রান্না করা ডিমের পরিবর্তে সেদ্ধ ডিম অনেক বেশি উপকারী। ডিমে থাকে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান যা, শরীরের জন্য উপকারী। তবে ডিম সেদ্ধ করে খেলেই সেই উপকার পুরো মাত্রায় পাওয়া যায়। অমলেট বা অন্য কোনওভাবে খেলে তার পুষ্টি সবটা পাওয়া যায় না। ব্রেকফাস্টে একটা ডিম ব্যাপকভাবে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ওজনও দ্রুত হ্রাস পায়। শীতের মরশুমে সেদ্ধ ডিম খাওয়ার বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে।
হেলদি ফ্যাট উৎস হিসেবে (Healthy Fat Source)
সেদ্ধ ডিম হেলদি ফ্যাটের একটি দারুণ উৎস। এটি শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে এবং সুরক্ষা দেয়। ডিম শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। ফলে শীত ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
মজবুত হাড়ের জন্য ডিম (Good For Bone)
ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে, যা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, দেহের হাড়কেও মজবুত করে। তাই ভঙ্গুর অস্থি সংক্রান্ত সংস্যা এড়াতেও ডিম খাওয়া যেতে পারে।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী (Good For Brain)
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলিন পাওয়া যায়, যা কোষ প্রাচীর গঠন করে এবং মস্তিষ্কে সিগনালিং পার্টিকেল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওজন কমাতে ডিমের ডায়েট (Weigh Loss)
ডিম ফ্যাটহীন প্রোটিনের পাশাপাশি অ্যামিনো অ্যাসিডেরও একটি চমৎকার উৎস। কম ক্যালোরির কারণে এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ফিটনেসের শত্রু হল অলসতা। আর ডিম সেই অলসতাই দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় (Immune System)
ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, বি১২ এবং জিঙ্ক থাকে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দেহকে ফ্লু ও ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।