Eggs and Cholesterol: ডিম খেলে বাড়ে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি, কতটা খাওয়া নিরাপদ ?

Egg and Cholesterol: সব খাবারের মধ্যে ডিমকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে 'সুপারফুড'-ও বলা হয়, এর মধ্যে থাকা পুষ্টির কারণে। একটি গোটা ডিমে চিকেনের সমান পুষ্টি থাকে। তবে ডিম প্রায়শই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

Advertisement
ডিম খেলে বাড়ে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি, কতটা খাওয়া নিরাপদ ?ডিম/ প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • সব খাবারের মধ্যে ডিমকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়
  • তবে ডিম প্রায়শই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়
  • তাই কোলেস্টেরল বাড়লে বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়

Egg and Cholesterol: সব খাবারের মধ্যে ডিমকে (Egg) সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটিকে 'সুপারফুড'-ও বলা হয়, এর মধ্যে থাকা পুষ্টির কারণে। একটি গোটা ডিমে চিকেনের সমান পুষ্টি থাকে। তবে ডিম প্রায়শই কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কোলেস্টেরল বাড়লে বেশি ডিম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জেনে নিন কোলেস্টেরলের সঙ্গে ডিমের কী সম্পর্ক এবং দিনে কতটা ডিম খাওয়া নিরাপদ।

বেশিরভাগ মানুষ কোলেস্টেরলকে খারাপ বলেই মনে করেন, যা ঠিক নয়। পূর্ববর্তী কিছু গবেষণায় জানা গেছে, উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল থাকলে হৃদরোগ এবং দ্রুত মৃত্যু হয়। তবে এ বিষয়ে মিশ্র প্রমাণ রয়েছে। কোলেস্টেরল শরীরের জন্য অপরিহার্য। আসলে, আমাদের সমগ্র শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য কোলেস্টেরল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল কোষের ঝিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রয়োজনীয় স্টেরয়েড হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন এবং কর্টিসল তৈরিতেও সাহায্য করে।

আমাদের লিভার (Liver) স্বাভাবিকভাবেই শরীরের জন্য পর্যাপ্ত কোলেস্টেরল তৈরি করে এবং যখন আমরা উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত কোনও খাবার খাই, তখন শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোলেস্টেরল তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। 

ডিম ও কোলেস্টেরলের সম্পর্ক

বেশিরভাগ মানুষই কম ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন, বিশেষ করে ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুম। একটি মাঝারি আকারের ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চ প্রোটিন এবং কম কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। ডিমের কুসুমে একটু বেশি কোলেস্টেরল থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৬ টি কুসুম খাওয়ার পরামর্শ দেন। 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের প্রতিদিন ১-৩ টি গোটা ডিম খান এবং অন্যদের, ডিমের বিকল্প খাবার দেওয়া হয়েছিল। সমীক্ষায় এঁদের মধ্যে 'গুড কোলেস্টেরল' মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও কয়েকজনকে বাদ দিয়ে 'ব্যাড কোলেস্টেরল'-এর মাত্রায় কোনও পরিবর্তন পাওয়া যায়নি।

ডিম খেলে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি?

Advertisement

একটি আস্ত ডিম খাওয়ার প্রভাব ব্যক্তি ভেদে পরিবর্তিত হয়। ডিম ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে তাদের 'ব্যাড কোলেস্টেরল'-কে প্রভাবিত করে না, যেখানে ৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এটি সামান্য বৃদ্ধি পায়। যাদের এলডিএলের বড় কণা রয়েছে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম। তাই ডিম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, তবে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ৩টি ডিম খাওয়া সুস্থ মানুষের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

ডিম ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত

কিছু গবেষণা অনুসারে, বেশি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও কিছু গবেষক বলেছেন যে ব্যক্তির খাওয়া, ধূমপান এবং ব্যায়ামের অভ্যাসের উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। শুধুমাত্র ডিম খেলে হৃদরোগ হতে পারে এমন কোনও প্রমাণ নেই। কিছু গবেষণা অনুযায়ী ডিম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

অন্য একটি গবেষণা অনুসারে, টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীরা তিন মাস সপ্তাহে ৬ দিন প্রতিদিন ২টি ডিম খেতে পারেন। এটি তাদের রক্তের লিপিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করবে না।

POST A COMMENT
Advertisement