scorecardresearch
 

Fact and Myths of Mangoes: দিনে সর্বোচ্চ ক'টি আম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল?

Fact and Myths of Mangoes: আম খেতে কে না ভালোবাসে? ফলের রাজা আম সবারই প্রিয় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি খাওয়ার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আম সবসময় পরিমিত খাওয়া উচিত। না হলে তা শরীরের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন ধরণের আম রয়েছে ভারতে।

Advertisement
আম/ প্রতীকী ছবি আম/ প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • আম সবসময় পরিমিত খাওয়া উচিত
  • না হলে তা শরীরের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে
  • বিভিন্ন ধরণের আম রয়েছে ভারতে

Fact and Myths of Mangoes: আম খেতে কে না ভালোবাসে? ফলের রাজা আম সবারই প্রিয় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি খাওয়ার ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আম সবসময় পরিমিত খাওয়া উচিত। না হলে তা শরীরের তাপমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। বিভিন্ন ধরণের আম রয়েছে ভারতে। এর মধ্যে খুব জনপ্রিয়- তোতাপুরি, হাপুস, সিন্ধুরা, বাঙ্গিনাপল্লি, রত্নাগিরি, চৌসা, রাসপুরি, পাইরি, হিমসাগর, নীলম,  ল্যাংড়া, কেসর ইত্যাদি। তবে আম খাওয়া নিয়ে কিছু মিথ রয়েছে। জেনে নিন আম নিয়ে সত্য ঘটনাটি কী?

মিথ: আম ওজন কমাতে সাহায্য করে

ঘটনা: এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, আমের বেশ কিছু ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গ্রীষ্ম ঋতুতে এই ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, অন্যান্য ঋতুতে এর প্রাপ্যতা নগণ্য, তাই এসময় সকলেই আম বেশি করে খেয়ে উপভোগ করে নিতে চায়। 

মিথ: আম খেলে ব্রণ বাড়ে

ঘটনা: না, এটা একেবারেই সত্য নয়। আম একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, আয়রন, পটাসিয়াম, কপার। গ্রীষ্মে ব্রণ এবং পিম্পল হতে পারে তবে আম এর পিছনে কোনও কারণ নয়।

মিথ: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের আম এড়িয়ে চলা উচিত

ঘটনা: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য আম উপযুক্ত, যদি তা পরিমিতভাবে খাওয়া হয়। চিকিৎসকরা যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন তা হল ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। আমের গ্লাইসেমিক সূচক ৫১, যা কম কিন্তু অ-ডায়াবেটিক খাবারের তুলনায় বেশি। ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লাইসেমিক সূচক ৫৫-এর বেশি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মিথ: আম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়

ঘটনা: হ্যাঁ, আম শরীরের তাপমাত্রার উপর প্রভাব ফেলে। এটি শীতল ফল নয়। তাই আমাদের বাড়িতে আম কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়ানো হয়।

Advertisement

মিথ: আম হার্টের জন্য ভালো

ঘটনা: আম খেলে রক্তচাপ কম বলে পরিচিত। আমের ম্যাঙ্গিফেরিন যৌগ হার্টের প্রদাহ কমাতে পারে।

মিথ: আম হজমের জন্য ভালো

ঘটনা: আম ফাইবার সমৃদ্ধ যা এটিকে ভাল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ প্রার্থী করে তোলে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা আম খেতে পারেন। আমে উপস্থিত অ্যামাইলেজ যৌগ স্টার্চ জাতীয় খাবার হজমে সাহায্য করে।

দিনে কয়টি আম খাওয়া নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ২টি বা ৩৫০ গ্রামের কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ১০০ গ্রাম ৬০ ক্যালোরি ধারণ করে। একটি আস্ত আমে ২০২ ক্যালরি থাকে।

আমে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ফাইবার, চিনি, ভিটামিন সি, কপার, ফোলেট, ভিটামিন বি6, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং থায়ামিনের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে।

Advertisement