Fat Burning Tea: চা-এ মেশান এই ৩ জিনিস, হু হু করে গলবে পেটের মেদ

শীতকালে রোজ চা খেলে কি ওজন বাড়তে পারে? আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা: সেলিম জাইদি বলছেন, সঠিক উপাদান এবং বিনা দুধ ও চিনি দিয়ে চা মেটাবলিজমের জন্য সহায়ক।

Advertisement
চা-এ মেশান এই ৩ জিনিস, হু হু করে গলবে পেটের মেদনিজস্ব চিত্র
হাইলাইটস
  • শীতকালে রোজ চা খেলে কি ওজন বাড়ে?
  • দুধ না লিকার, কোন চা-এ কী উপকার?
  • আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা: সেলিম জাইদির পরামর্শ শুনুন


শীত হোক বা গ্রীষ্ম, চা ভারতীয়দের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দিন শুরু হো বা ঠান্ডায় গরম রাখা, এক কাপ চা সমস্ত কিছুর সমাধান করে দেয়। ভারতে চা কেবল একটি পানীয় নয়, একটি একটি অভ্যাস, একটি আবেগ। কিন্তু এই শীতেও অনেকেই প্রতিদিন চা পান করার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে চিন্তিত। চা খেলে কি পেটে মেদ জমে? ওজন বৃদ্ধি পায়? এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতেই অনেকেই নিজেদের প্রিয় এই অভ্যাস ত্যাগ করছেন রাতারাতি। 

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক সেলিম জাইদি বলেন, 'চা ছেড়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। সঠিক উপায়ে এবং সঠিক উপাদান দিয়ে চা তৈরি করে তা পান করলে ক্ষতির বদলে উপকারী হতে পারে। শীতকালে চা কেবল শরীরকে উষ্ণ রাখে না বরং বিপাকেও সহায়তা করে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেয আসল সমস্যা চা নয় বরং এর উপাদান। অতিরিক্ত চিনি, অতিরিক্ত দুধ অথবা ভুল স্বাদ চা-কে অস্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। সঠিক উপাদান দিয়ে চা শীতকালেও অভ্যাস তৈরি করে দেয়, ওজন বৃদ্ধির চিন্তা ছাড়াই।'

শীতকালে চা কেন উপকারী?
ওজন কমাতে বা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মানুষ প্রায়শই চা-এ আদাস দারুচিনি, কালো মরিচ এবং সেলেরির মতো উপাদান যোগ করে। এই উপাদানগুলিকে শীতকালে বিশেষ ভাবে উপকারী বলে মনে করা হয় কারণ এগুলির উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে এবং শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

শীতের সময়ে চা শরীরকে উষ্ণ রাখে। আদা, দারুচিনি বা গোলমরিচের মতো উপাদানের সঙ্গে মেশালে এটি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত করে এবং বিপাকক্রিয়া ঠিক ভাবে হয়। এই কারণেই শীতকালে চা ছেড়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, চা-এ অতিরিক্ত চিনি বা দুধ যেন না থাকে। যাতে এটি ক্ষতিকারক না হয়ে বরং উপকারী হতে পারে। এছাড়াও পরিমিত পরিমাণে চা পান করা উচিত। 

Advertisement

লিকার চা একমাত্র উপকারী?
ডা: জাইদি বলেন, 'যদি ওজন কমানো লক্ষ্য হয় তাহলে দুধ ছাড়া চা খাওয়া উচিত। দিনে দু'কাপ যথেষ্ট। সর্বোচ্চ ৩ কাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাই ভাল। অতিরিক্ত চা পান করা ক্ষতিকারক হতে পারে।'

পুদিনা: পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা করে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। ডা: জাইদি ব্যাখ্যা করেন, পুদিনার গন্ধ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, পুদিনা শরীরের অতিরিক্ত পিত্তকে নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ এবং অস্বস্তি কমায়। পুদিনা লিকার পান করলে পেট ফাঁপা এবং ক্ষুধা কমে। এটি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য ভাল অপশন। 

মৌরি: গ্রীষ্মকালে পেট ফাঁপা এবং ভারী লাগার সমস্যা স্বাভাবিক। মৌরি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আয়ুর্বেদ মৌরিকে হজমের জন্য একটি উদ্দীপক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আধুনিক গবেষণা অনুযায়ী, মৌরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়। চা-এর সঙ্গে মৌরি যোগ করলে পেট শিথিল হয় এবং সহজে হজম হয় খাবার। এর ঠান্ডা ভাব গ্রীষ্মের সময়ে এটি উপযুক্ত উপাদান করে তোলে। 

সবুজ এলাচ: এলাচ প্রায়শই কেবল সুগন্ধের জন্য চা-এ যোগ করা হয়। তবে এর উপকারিতা আরও। সবুজ এলাচ বিপাকে সহায়ক হয়। শরীর থেকে অতিরিক্ত জল অপসারণে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ এটিকে সকল ধরনের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই নিরাপদ মনে করে। এলাচযুক্ত লিকার চা বিশেষ করে যাদের মিষ্টির তীব্র আকাঙ্খা রয়েছে তাদের জন্য উপকারী। 

৩টি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে চর্বি গলানোর চা তৈরি করেন। ডা: জাইদি ব্যাখ্যা করেন,'আপনি যদি ৩টি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করে উপকার পেতে চান। তাহলে পুদিনা, মৌরি এবং এলাচ মিশিয়ে চা তৈরি করতে পারেন। এই চা গরম বা ঠান্ডা করে আইসড টি হিসেবে পান করা যেতে পারে। এই পানীয় গ্রীষ্মকালে শরীরকে সতেজ করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে।'

কোন বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ?
প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের গঠন আলাদা। যদি কারও অ্যাসিডিটি বা হজমের সমস্যা থাকে, তাহলে একটি দিয়েই শুরু করুন। ডায়াবেটিস রোগীদের মধু বা গুড় এড়িয়ে চলা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই ধরনের চা-এ দুধ বা চিনি যোগ করলে সমস্ত উপকারীতা নষ্ট হবে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement