মেথি একটি বহু উপকারী ভেষজ, যা আয়ুর্বেদ থেকে শুরু করে আধুনিক গবেষণা, দুটিতেই সমানভাবে প্রশংসিত। ভারতীয় রান্নায় মেথির বীজ সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য ব্যবহৃত হলেও এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা আরও বিস্তৃত। বিশেষ করে ওজন কমানো, হজমশক্তি উন্নত করা, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বক ও চুলের যত্নে মেথির জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মেথির জল পান করার ৭টি প্রধান উপকারিতা
ওজন কমাতে সহায়ক
মেথি বীজে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার ক্ষুধা কমায় ও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি দেয়। এতে থাকা ল্যাকটোমেন বিপাক বাড়িয়ে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে
প্রিবায়োটিকের মতো কাজ করে মেথি, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও বদহজম কমে।
রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনে
মেথির অ্যালকালয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং পটাশিয়াম সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে রক্তচাপ ঠিক রাখে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কার্বোহাইড্রেটের শোষণ ধীর করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে উপকারী।
পেশী বৃদ্ধি ও শক্তি বাড়ায়
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মেথি পেশীর শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরের চর্বি কমায় এবং ব্যায়ামের কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
মেথি মৃত ত্বক কোষ মেরামত করে, নতুন কোষ তৈরি করে ও সূক্ষ্ম রেখা কমায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবও কমাতে পারে।
চুলের যত্নে কার্যকর
মেথির প্রোটিন ও নিকোটিনিক অ্যাসিড চুল মজবুত করে, খুশকি ও চুল পড়া কমায় এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
মেথির জল তৈরির সহজ উপায়
এক চা চামচ মেথি বীজ এক কাপ জলতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে মাঝারি আঁচে হালকা গরম করে ছেঁকে নিন।
স্বাদ বাড়াতে চাইলে তাজা লেবুর রস মেশাতে পারেন।
চাইলে বীজ শুকিয়ে ভেজে গুঁড়ো করে জলতে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
নিয়মিত মেথির জল পান করলে শরীরের ভেতর থেকে ও বাইরে—দুই দিকেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।