Fever Medicines Alternative: দেশজুড়ে ৯০০টিরও বেশি ওষুধের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, সিরাপ এবং ইঞ্জেকশন সহ সবকিছুরই দাম বেড়েছে। ১ এপ্রিল থেকে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। একদিকে ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রকোপ। অন্যদিকে, ফের জেঁকে বসছে করোনা। সেক্ষেত্রে জ্বর (Fever), সর্দি-কাশির (Cold-Cough) ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। মহার্ঘ অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও সুস্থ থাকতে পারেন। বাড়ির এই টোটকা কাজে লাগালেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
এই টোটকা করলেই সুস্থ থাকবেন-
তুলসী- তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেট্রি গুণ আছে। অনেক রকমের রোগ দূরে রেখে ইম্যুনিটিও বাড়ায়। জ্বর দূর করতে তুলসীর জল খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই জল খেলে জ্বর খুব দ্রুত সেরে যায়। জলে বা চায়ে তুলসী ফুটিয়ে খেতে পারেন।
বাসক পাতা- সর্দি কাশির সমস্যায় বাসক পাতার রস আজও অনবদ্য। আর্য়ুবেদে এখনও এটি ব্যবহার করা হয়। বাসক পাতা খুব তেতো। তবে এর একাধিক গুণ রয়েছে। বাসক পাতার ফল, ফুল এবং আরও নানা অংশ ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। বহুদিন ধরে যদি কফ, সর্দির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সারাতেও কাজে লাগে বাসক পাতা।
আদা- জ্বর থেকে মুক্তি পেতে আদা ব্যবহার করতে পারেন। আদার বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। যার কারণে জ্বরের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। শুকনো আদা খেতে পারেন। ভাইরাল জ্বর থেকে মুক্তি পেতে আদার পেস্টে সামান্য মধু মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর পর খেতে থাকুন।
আমলকি- আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার, যা শরীরকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি প্রতিদিন খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। জ্বর কমবে।