মাছে ভয়ঙ্কর বিপদ
মাছ ছাড়া ভাত রোচে না ? ঝালে-ঝোলে-অম্বলে নানা ভাবে মৎস্য মারিব খাইব সুখে থিয়োরিতে বিশ্বাসী ! সকাল হলেই ঝোলা হাতে মাছ বাজারে ঢুঁ মারা অনেকের রোজকার অভ্যেস। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতনতায় রেড মিট বাদ দিয়ে তুলনামূলক সহজপাচ্য মাছেই মনোনিবেশ করেছেন ? তাহলে সাবধান হোন, ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
বেশি করে মাছ খাওয়ার দিন শেষ
কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। তাই মাছ ছাড়া একদিনও ভাত রোচে না, এমন লোক দুই বাংলায় রয়েছে অগুণতি।বাঙালিদের প্রিয় খাবারটিই হল মাছ। মাছে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে তাই ছোট থেকে বড়, সকলকেই বলা হয়, বেশি করে মাছ খাও। এমনকী চিকিৎসকরাও এই নির্দেশ দেন।
মাছেও রেড মিটের মতো ক্ষতি
কিন্তু সেই প্রিয় মাছেও নাকি রয়েছে দুশ্চিন্তার কারণ ! বহু চিকিৎসক এ বিষয়ে একমত। রোজ মাছ খেলে রেড মিটের মতই ক্ষতি হতে পারে মাছেও। মারাত্মক রকমই। গল্প নয়, এ সত্যি। গবেষক চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রেড মিটের মতোই নাকি ক্ষতিকারক মাছও। ফলে বেশ কিছু রোগে যাঁরা রেড মিট বন্ধ করে দিয়েছেন, তাঁরা মাছও খান সাবধানে। এমনই সতর্কবাণী শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোগের সংক্রমণ হতে পারে
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মেডিকেল জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, সামুদ্রিক মাছ সহ বিভিন্ন স্বাদুপানির মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে মার্কিন গবেষক নরম্যান হর্ড জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মাছ খেলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে উল্টে শরীর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, হতে পারে রোগের সংক্রমণ।
পরিমিত মাছ খান
ওই গবেষকের দাবি, অতিরিক্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাই পাল্টে যায়। যা জীবাণুর সঙ্গে শরীরের লড়াই করার ক্ষমতার ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। কমে যায় রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা। তাই মাছ খেতে হবে খুব বুঝে ও সাবধানে। পরিমিত পরিমাণে মাছ খেতে হবে।
সপ্তাহে ২-৩ দিনের বেশি নয়
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি দিনে ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম মাছ খেতেই পারেন। বড়জোড় ২০০ গ্রাম। তার বেশি কিন্তু নয়। তাও সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি কোনও মাছই খাওয়া উচিৎ নয়। বিশেষ করে পছন্দের ইলিশ। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত মাছ খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বসা কাজ হলে, মাছ খান সাবধানে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর বিজ্ঞানীদের মতে, দিনে ৪ গ্রামের মতো ওমেগা থ্রি খেতে হবে। হার্ট ঠিক রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন বার ৩.৫ আউন্সের মতো তৈলাক্ত মাছ খেতে হবে। শরীর চর্চা করলে ক্যালোরির সমস্যা ততটা থাকে না। তবে শরীরচর্চা না করে বিশেষ করে যাঁরা বসে কাজ করেন, তাঁদের মাছ খেতে হবে বুঝে শুনে।