কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি'। মাছের (Fish) প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। ইলিশ, রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, পারশে, চিতল, কই, বাটা, মৌরলা ইত্যাধি ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল - সন্ধ্যে। বিশেষত উৎসবের আগের দিনগুলিতে মাছের দোকানে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো।
মাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে টাটকা মাছ না খেলের স্বাস্থ্যের ক্ষতিও হতে পারে। অনেকেই মাছ চেনেন না। সেক্ষেত্রে ভরসা করতে হয় বিক্রেতার উপর। সেখানে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকে। কয়েকটি ছোট বিষয় খেয়াল করলেই, ভুল হয় না। জানুন কীভাবে সহজে চিনবেন টাটকা এবং ভাল মাছ কোনগুলি।
আরও পড়ুন: গলায় আটকে যাওয়া মাছের কাঁটা মুহূর্তে বের করার সহজ টোটকা
গন্ধ
মাছের গন্ধ থাকা স্বাভাবিক, তবে সে গন্ধ যদি যদি বেশ চড়া হয় তাহলে বুঝবেন মাছটি বাসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকক্ষণ টাটকা দেখানোর জন্য বাসি মাছের সঙ্গে রসায়নিক মেশানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাটকা মাছে জলের গন্ধ থাকে।
ত্বক
মাছ বাসি হলে, এর শরীরের চকচকে ভাব চলে যায়। অন্যদিকে টাটকা মাছের ত্বক অনেকটা চকচকে ও উজ্জ্বল। যার ফলে অনেকটা ধাতব লাগে।
চোখ
টাটকা মাছের চোখ অনেক বেশি উজ্জ্বল ও চকচকে হয়। আকার হয় স্ফীত। সে তুলনায় বাসি মাছের চোখ অনেকটা ঘোলাটে হয়।
আরও পড়ুন: এই ধাতব পাত্রগুলিতে রান্না খাবার বিষের সমান, সুস্থ থাকতে সাবধান
আঁশ
টাটকা মাছের পেশি ত্বক অনেক শক্ত থাকে, ফলে আঁশ ছাড়ানো অনেকটাই কঠিন। অন্যদিকে আঁশ যদি তুলনামূলক আলগা থাকে, তাহলে বুঝবেন মাছ বাসি না।
কানকোর রং
কানকো দেখে সহজে মাছ টাটকা না বাসি তা বোঝা যায়। টাটকা মাছের কানকো টকটকে লাল হয়। অপর দিকে বাসি মাছের কানকোর রং কিছুটা ইটের মতো- কালচে রং।