Food For Healthy Heart: হার্ট আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিধানের মধ্য দিয়ে যায়। এই বার্ধক্য সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায় না, তবে বার্ধক্যের গতি ধীর করা যেতে পারে৷ আমরা যা খাই তা আমাদের স্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে এবং এই বার্ধক্যকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে৷
সুপারফুড হল এমন খাবার যা চমৎকার পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং আমাদের শরীরকে প্রচুর উপকার দেয়। সুপারফুডগুলি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করতে পারে। অল্প বয়সেই এগুলি খাওয়া শুরু করুন, যাতে ৪০ বছর বয়সের পরে হৃদরোগ না হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪ স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে যেগুলি মাঝ বয়সেও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে...
আরও পড়ুন: রসুন হার্ট ভাল রাখে, কিন্তু কিছু মানুষের হার্ট অ্যাটাকও করতে পারে, জরুরি তথ্য
গোটা শস্য:
পরিশোধিত শস্যের পাশাপাশি, গোটা শস্য আমাদের শরীর এবং বিশেষ করে হার্টের জন্য অনেক ভাল। প্রসেস করা খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ালেও, গোটা শস্য হৃদপিণ্ডকে সুস্থ-স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকোলেট:
আপনি নিশ্চয়ই অনেক চকলেট খেয়েছেন! কিন্তু আপনি যদি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে এখন থেকেই ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই জিনিসটি খেলে আপনার শরীর ও হৃদপিণ্ডকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে। ডার্ক চকোলেটে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে যা হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
চর্বিযুক্ত মাছ চর্বিযুক্ত:
চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন এবং টুনা মাছের তেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির সমৃদ্ধ উত্স। শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। এর সঙ্গে, হেলদি ফ্যাট আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করতে এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন শোষণ করতে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল:
অলিভ অয়েল আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অন্যান্য রান্নার তেল করোনারি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে জলপাইয়ের তেল করোনারি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন, তাদের হার্টের স্বাস্থ্য বাকিদের তুলনায় ভাল।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান আর ধারণার জন্য। যে কোনও প্রতিকার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরে যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে বা যদি কোনও অসুস্থতার কারণে নিয়মিত কোনও ওষুধ খেতে হয়, তাহলে কখন কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা জানার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।