বর্তমান সময়ে আমাদের যেমন জীবনযাপন তাতে মানসিক চাপ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এখন তো মানুষের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে এই রোজকার চাপ। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। একদিকে যেমন কিছু পরিস্থিতির কারণে মানসিক চাপ হতে পারে তেমনি কিছু খাবারের জন্য আপনার জীবনে চাপের সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু খাবার কী করে মানসিক চাপের সৃষ্টি করতে পারে, এই বিষয়টি অদ্ভুত লাগলেও একেবারে সত্যি। আসলে এই খাবারগুলি শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়, যাকে স্ট্রেস হরমোনও বলা হয়। যদিও এই খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে আর আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। এরকম অবস্থায় আপনার জেনে রাখা উচিত কোন কোন খাবার খেলে অজান্তেই আপনি মানসিক চাপ বাড়িয়ে ফেলছেন।
ক্যাফিন
যদি আপনার সকালে কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এটি কর্টিসেল হরমোনকে বাড়ায়। তবে কফি আপনার কর্টিসেল হরমোনের মাত্রা তখনই বাড়ায় যখন খুব বেশি পরিমাণে কফি আপনি খেয়ে থাকেন বা আপনি আগে থেকেই মানসিক চাপে আছেন। তাই যদি আগে থেকেই কোনও টেনসন থাকে বা খুব ক্লান্ত বোধ করেন তাহলে কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক ও লাল চা কম খেলেই ভাল।
ভাজাভুজি
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, ফ্রায়েড চিকেনের মতো ভাজাভাজু খাবারে খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ উচ্চ মাত্রায় থাকে। এটা প্রায়ই খেলে ব্লোটিং ও সুগার লেবেল ওঠা-নামা করতে পারে। যার ফলে কর্টিসলের মাত্রা বেঢ় যায়।
মদ
এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়ার পর আপনি শান্তি পেলেও এটা আপনার স্ট্রেস হরমোনকে বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি প্রায়ই মদ্যপান করে থাকেন তাহলে ব্লাড সুগারে তার প্রভাব পড়ে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, বিশেষ করে রাতে যদি কেউ মদ খেয়ে থাকেন।
প্রসেসড ফুড
প্যাকেজ স্ন্যাকস, মিষ্টি সবজি ও ফাস্ট ফুডে অতিরিক্ত চিনি, ফ্যাট ও রিফাইন্ড কার্বস থাকে। এটি পেটের সমস্যা, ব্লোটিং হতে পারে, যার ফলে কর্টিসেল বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত মিষ্টি
প্রথম প্রথম মিষ্টি খেতে ভালই লাগে, কিন্তু এতে ব্লাড সুগারের মাত্রা খুব দ্রুত ওঠা-নমা করে, যার কারণে আপনার শরীর বেশি পরিমাণে কর্টিসেল ছাড়তে শুরু করে।