
আমরা প্রায়শই জিন্স, টি-শার্ট বা জ্যাকেট একাধিকবার ব্যবহার করি কারণ এগুলো দেখতে ততটা নোংরা লাগে না। কিন্তু এমন একটি জিনিস আছে যা পরার পর কখনও পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়, এটি হলো মোজা।
সারাদিন জুতার ভিতরে পা আটকে থাকে। হাঁটাহাঁটির সময় ঘাম, ধুলোবালি ও জীবাণু মোজার ভিতরে জমে যায়। অনেক সময় মোজা দেখতে পুরোপুরি পরিষ্কার মনে হলেও, তার ভিতরে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও মৃত ত্বকের কণার কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
কেন মোজা এত তাড়াতাড়ি দুর্গন্ধযুক্ত হয়?
পায়ে প্রচুর ঘাম গ্রন্থি থাকে। ঘামের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসার পর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মোজা ঘাম শুষে নেয়, আর সেই আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের জন্য আদর্শ আবাসস্থল তৈরি করে। হাঁটার সময় মোজায় ময়লা, মাটি, জিম বা জুতার জীবাণু লেগে থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, মোজায় টি-শার্টের তুলনায় অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই মোজা যতই পরিষ্কার দেখাক না কেন, পুনরায় ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।
নোংরা মোজা পরার ক্ষতি
জীবাণু শুধুমাত্র পায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং বিছানা, সোফা, মেঝে ও জুতাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বারবার নোংরা মোজা পরলে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেমন অ্যাথলিটস ফুট (পায়ে দাদ)। যদি পায়ে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ থাকে, মোজা তা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ভেজা জুতা থাকলে দুর্গন্ধ ও সংক্রমণ আরও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
পা ও মোজা পরিষ্কার রাখার উপায়
প্রতিদিন নতুন মোজা পরুন। আগে পরা মোজা পুনরায় ব্যবহার করবেন না। দিনে দুবার পা ধুয়ে নিন। সাবান ব্যবহার করে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন, বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক। সঠিক মোজা পরুন, সুতি বা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল কাপড়ের মোজা ঘাম কম আটকে রাখে।
মোজা কীভাবে ধোবেন?
ভেতর থেকে ভালো করে ধুয়ে সমস্ত ময়লা ও ঘাম দূর করুন। গরম জলে (প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধোয়া সবচেয়ে ভালো। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক মারা যায়। ঠান্ডা জলে ধোয়ার পর মোজা রোদে শুকিয়ে নিন বা হালকাভাবে বাষ্প ইস্ত্রি করুন।