মন খারাপ কিংবা ভাল, মুড স্যুং কিংবা আহ্লাদ, যে কোনও আবেগ নিমেষে পরিবর্তন করার ক্ষমতা শুধু বন্ধুদের আছে। জীবনের সুর, তাল, ছন্দ সব এক সুতোয় মিলিয়ে দেয় বন্ধুরা। বিভিন্ন বয়সে, ভিন্ন প্রকারে সংজ্ঞা পাল্টেই সামনে আসে জীবনের বন্ধু। তাইতো পরিবারের সদস্য থেকে আদরের পোষ্য যে কোনও কেউ হয়ে উঠতে পারে পরম কাছের বন্ধু।
সত্যি কথা বলতে বন্ধুদের জন্য আলাদা কোনও দিনক্ষণ হয় না। যে কোনও ঋতুতে, দিনে কিংবা রাতে শুধু নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকতে পারে এই বন্ধু নামক মানুষটি। তবু আরও রকমারি দিন উদযাপনের ন্যায় প্রতিবছর পৃথিবীর অনেকে দেশে ৩০ জুলাই ফ্রেন্ডশিপ ডে পালন হলেও, ভারতে এই দিনটি উদযাপন হয় অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার।
বন্ধু দিবস ২০২৪
এই বছর ফ্রেন্ডশিপ ডে -পড়েছে ৪ অগাস্ট, রবিবার।
কীভাবে শুরু হল বন্ধু দিবস উদযাপন?
বন্ধু দিবস নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ। শোনা যায়, ১৯৩৫ সালে আমেরিকা সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করায়, তার প্রতিবাদে পরের দিন তাঁর বন্ধু আত্মহত্যা করেন। দিনটি ছিল অগাস্টের প্রথম রবিবার। এরপর আমেরিকান কংগ্রেস এই দিনটিকে 'বন্ধু দিবস' হিসাবে ঘোষণা করেন।
আরও একটি কাহিনি অনুসারে ১৯৫৮ সালে হলমার্ক কার্ড নির্মাতা জয়েস হল 'বন্ধু দিবস' পালনের প্রস্তাব রাখেন। এরপর ২০১১ সালে জাতিসংঘ, ৩০ জুলাই বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
বর্তমানে বিশ্ব বন্ধু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় ভারতেও। রেস্তোরাঁ থেকে শপিং মল সেজে ওঠে ভিন্ন ভাবে। একাধিক দোকানে দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়। সেই সঙ্গে এই বিশেষ দিনে কার্ড, গিফট, খাওয়া -দাওয়া, ছবি - ভিডিয়ো শেয়ার পর্ব চলতেই থাকে বন্ধুদের মধ্যে। বলা চলা এটা এখন কার্যত একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তার প্রস্তুতি।
যদিও অনেকে মনে করেন শুধু একদিন কেন, রোজ হয়ে উঠুক 'ফ্রেন্ডশিপ ডে'। তবে এই একবিংশ শতাব্দীতে, প্রতিদিনের ব্যস্ততার ফাঁকে অসম্ভব সেটা। তাই একটা দিন যদি বন্ধুরা একটু 'স্পেশাল ফিল' করেন, মনের আনন্দে কাটান তাহলে ক্ষতি কী?