scorecardresearch
 

২১ সেপ্টেম্বর ঘুচবে ইলিশের হাহাকার, পূর্ণিমায় উঠবে সেরা ইলিশ

প্রত্যাশা মতো ইলিশ ওঠেনি দুই বাংলার নদীতে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী ২১ সেপ্টেম্বরই ঘুচবে ইলিশের জন্য হাহাকার। ওইদিন পূর্ণিমা। ফলে দেদার উঠবে ইলিশ।

Advertisement
এমন দৃশ্যের অপেক্ষায় দুই দেশ এমন দৃশ্যের অপেক্ষায় দুই দেশ
হাইলাইটস
  • ২১ সেপ্টেম্বর সেরা ইলিশ মিলবে
  • পূর্ণিমাতেই মেলে সেরা ইলিশ
  • ঘুচবে ইলিশের জন্য হাহাকার

বর্ষা শেষ। এসেছে শরৎ, হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে। পুজোও দোরগোরায়। তবু সাধারণত যে পরিমাণ ইলিশ দেখা যায়, তা এবার অনুপস্থিত। সাধারণত বছরের এ সময়ে বাজারে ইলিশের জোগান বাড়ে। তাতে দাম কমে। আর ইলিশের চাহিদাও থাকে বেশি। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন রকমের।

ঢাকা থেকে কলকাতা একই ছবি

ঢাকা থেকে কলকাতা, চট্টগ্রাম থেকে মেদিনীপুর, কিংবা শিলিগুড়ি থেকে সিলেট সর্বত্র চিত্রটা একই রকম।৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ইলিশের আকার ও ওজন ১ কেজির বেশি হলে কথাই নেই, ২ হাজার থেকে উপরে ইচ্ছামতো দামে বিকোচ্ছে। সব বাজারেই একই অবস্থা

বাংলাদেশেও ইলিশ দেদার উঠছে না

বাংলাদেশের সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাজারে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ইলিশের দাম প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শুধু ঢাকার পাইকারি বাজারই নয়, দেশের সবচেয়ে বড় ইলিশের বাজার চাঁদপুরেও এবার ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি। বুধবার সেখানেও প্রতি মণ ইলিশ ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে ১ কেজি ইলিশের দাম পড়ে ১ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় অনেক কম ইলিশ

চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বছরের এ সময়ে চাঁদপুরে দৈনিক গড়ে চার হাজার মণ ইলিশ ওঠে। কিন্তু এ বছর দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ মণের বেশি ইলিশ উঠছে না। দেশে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট ইলিশ উৎপাদিত হয়েছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার টন, যা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন বেশি।

বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমবাংলার ক্রেতারা

বাংলাদেশেই যেখানে এই অবস্থা, সেখানে এ রাজ্যে কি হবে, তা বোঝাই যাচ্ছে। ইলিশ শুধু বাজারে আশা-নিরাশার মতো দেখা দিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ পর্যন্ত  স্বাভাবিক দামে কিনতে পারেনি ক্রেতারা। ফলে পশ্চিমবাংলার ক্রেতারাও অপেক্ষা করেছেন বাংলাদেশে ইলিশ উঠলে তার প্রভাবে এ রাজ্যে যদি কিছুটা বেশি মাছ ওঠে এবং দাম কমে।

Advertisement

পূর্ণিমায় উঠবে ইলিশ

এখনও পর্যন্ত মাছের জোগান তুলনামূলক কম হলেও বাংলাদেশের মৎস্যচাষিরা মনে করছেন এখনও সুযোগ রয়েছে। এবার ইলিশের উৎপাদন বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি হবে। তাঁদের মতে এ মুহূর্তে ইলিশের উৎপাদন কম থাকার কারণ হচ্ছে এটি পূর্ণিমা ও অমাবস্যার মাঝামাঝি সময়। তাই এখন তুলনামূলক কম মাছ ধরা পড়ছে। তবে ২১ সেপ্টেম্বর একটি পূর্ণিমা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, তখন ইলিশ আহরণ বাড়বে এবং বাজারেও দাম কমে আসবে।

 

Advertisement