১২ মাসে ১৩ পার্বণ উদযাপন করা বাঙালি এবার তোড়জোড় শুরু করেছে গণেশ চতুর্থীর। আগামী ২৭ অগাস্ট, বুধবার ঘরে ঘরে গণেশ পুজো করা হবে। দেবী দুর্গার আগমণের আগে পার্বতীনন্দনের পুজোয় মাতবে সকলে। মূলত মহারাষ্ট্র সহ পশ্চিম ভারতে এই উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হলেও এখন এরাজ্যেও সাড়ম্বরে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। গণপতি বাপ্পাকে অর্পণ করার জন্য জাঁকজমকের পাশাপাশি ভোগপ্রসাদে অতি আবশ্যক লাড্ডু।
দোকানে নানা স্বাদের লাড্ডু বিক্রি হলেও, অনেকেই বাড়িতেই বানিয়ে নেন। তা ছাড়া লাড্ডু কিনতে গিয়ে ব্যয় হয় বেশি। তার চেয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিলে সাশ্রয় হয়। কীভাবে বানাবেন গণপতি বাপ্পার প্রিয় লাড্ডু?
> কম আঁচে বেসন, বোঁদে কিংবা মুগডালরে মিশ্রণ নাড়াচাড়া করবেন। অনেকেই তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার জন্য আঁচ বাড়িয়ে রাখেন। তাতে দ্রুত বাদামি রং ধরে এলেও বাইরে থেকে কাঁচা থেকে যায় লাড্ডু।
> লাড্ডুর স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে কাজু, পেস্তা দিতে পারেন। পাক দেওয়ার সময়ে কাজু, কিশমিশ বা পেস্তা আগে শুকনো কড়াইয়ে ঘিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিলে স্বাদ ভালো হবে। কাঁচা ড্রাইফ্রুটস কখনও লাড্ডুতে দেবেন না।
> বেসনের লাড্ডুতে চিনি দিলে লাড্ডুর স্বাদ ভাল হবে। তবে তাড়াহুড়ো থাকলে চিনির রস ব্যবহার করতে পারেন। রস যেন খুব পাতলা বা ঘন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
উপকরণ
১ কাপ ছোলার ডাল, ১/২ কাপ মটর ডাল, ১.৫ কাপ চিনি, ২ কাপ ঘি, ১/২ কাপ জল, ১/২ চা চামচ এলাচগুঁড়ো, ১/২ কাপ পছন্দমতো ড্রাই ফ্রুটস কুঁচেনো, ১ চা চামচ গোলাপ জল, প্রয়োজন মতো সাদা তেল।
প্রণালী
ডাল ভাল করে ধুয়ে জলে ভিজিয়ে নিতে রাখতে হবে ঘণ্টা দু'য়েক। এরপর ডাল মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। বাটা ডাল কড়াইতে গরম তেলে ছেড়ে ছোট ছোটো বড়ার আকৃতিতে ভেজে তুলে নিতে হবে। এই বড়াগুলো মিক্সিতে দিয়ে গুঁড়িয়ে নিতে হবে। ড্রাই ফ্রুটস রোস্ট করে ডালের বড়া গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য একটি পাত্রে চিনি ও জল আঁচে বসিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে। এবার এতে ডালের বড়ার গুঁড়োর মিশ্রণ দিয়ে পুরোটা মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে ঘি ও এলাচগুঁড়ো এবং গোলাপ জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এবার লাড্ডুর আকারে গোল গোল করে পাকিয়ে নিতে হবে।