শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় শ্রীকৃষ্ণ দিয়েছেন জীবনের শিক্ষা। গীতার এই শিক্ষাগুলি মহাভারতের যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দিয়েছিলেন। গীতায় দেওয়া শিক্ষাগুলি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানুষকে জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখায়। গীতার বাণী জীবনে গ্রহণ করলে মানুষ উন্নতি লাভ করে। গীতাই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা মানুষকে বাঁচতে শেখায়।
গীতা জীবনে ধর্ম, কর্ম এবং প্রেমের পাঠ শেখায়। শ্রীমদ্ভগবত গীতার জ্ঞান মানবজীবন এবং জীবনের পরবর্তী জীবন উভয়ের জন্যই উপযোগী। গীতা একটি সম্পূর্ণ জীবন দর্শন। যে ব্যক্তি তা অনুসরণ করে সে সর্বোত্তম ফল রায়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দ্বিধাগ্রস্ত অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। গীতা অনুসারে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এই ৫টি গুণ থাকা উচিত। সেগুলি কী কী-
পাঁচ গুণ দরকার- শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে প্রতিটি মানুষের পাঁচটি গুণ থাকা উচিত এবং সেগুলি হল ধৈর্য, ভদ্রতা, মৌনতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং পবিত্রতা। এই পাঁচটি জিনিস মনকে শৃঙ্খলায় বাঁধে। শ্রী কৃষ্ণের মতে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে এই সমস্ত গুণ থাকা উচিত তবেই সে সঠিক পথে চলতে পারবে।
ভালো হওয়ার শিক্ষা- গীতায় বলা আছে ভালোর সাথে ভালো হও, কিন্তু খারাপের সাথে খারাপ নয়। কারণ হিরে দিয়ে হিরে কাটা যায় কিন্তু কাদা দিয়ে কাদা পরিষ্কার করা যায় না।
অতীত কর্মের ফল- শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে আমাদের ভাগ্য আমাদের নিজেদের অতীত কর্মের ফল। আজ আমরা যে কর্মগুলি করছি তা আমাদের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।
স্বার্থপরতা ত্যাগ- গীতায় বলা হয়েছে, আপনি কারও ভাগ্য বদলাতে পারবেন না। তবে অন্তত অনুপ্রেরণা দিয়ে তাঁকে পথ দেখাতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের মতে, জীবনে কখনও সুযোগ পেলে সারথী হোন, স্বার্থপর নয়।
অহং ত্যাগ- অহংকার একজন মানুষকে এমন সব করতে বাধ্য করে যা শেষ পর্যন্ত তাঁর ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষকে তাঁর অহং ত্যাগ করা উচিত।
কর্মের ফল- শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে কর্ম হল সেই ফসল যা একজন ব্যক্তিকে প্রতিটি পরিস্থিতিতে নিজেকে কাটতে হয়। তাই সর্বদা ভাল বীজ বপন করুন যাতে ফসল ভাল হয়।