গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভাবস্থায় অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। গর্ভাবস্থায় শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) দেখা দেয়। এই রোগের কারণে প্রসবের সময় ঝুঁকি বাড়তে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না হলে গর্ভস্থ শিশুর জীবনও সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। আসলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভবতী মহিলাদের একটি বড়সড় সমস্যা। এর ফলে গর্ভবতী মহিলার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয় না। ২৭ বছরের বেশি বয়সী গর্ভবতী মহিলাদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। চলুন বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে (World Diabetes Day 2022) এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের উপসর্গ (Gestational Diabetes Symptoms)
১. কাঁপুনি লাগা
২. ঘন ঘন তেষ্টা পাওয়া
৩. ঝাপসা দৃষ্টি
৪. ত্বকের সংক্রমণ
৫. ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
৬. ক্লান্তি অনুভব করা
যে সমস্ত কারণে এই ডায়াবেটিস হয়...
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থার শেষ মাসে দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়েও এই রোগ দেখা দিতে পারে। যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি না হয় তবে তিনি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া যদি পরিবারের কারও আগে থেকেই ডায়াবেটিস থাকে, তাহলেও একজন গর্ভবতী মহিলার এই ডায়াবেটিস হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম না করা বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলেও গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের শিকার হতে পারেন কোনও মহিলা।
রক্ষা পাওয়ার উপায়
১. গর্ভাবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। বেশি মিষ্টি খেলে শরীরে অস্বাস্থ্যকর মেদ জমে এবং রোগের সৃষ্টি হয়।
২. ফাইবার সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাকসবজি খান।
৩. গর্ভাবস্থায় নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন। বিশেষ করে ২৪ থেকে ২৮ তম সপ্তাহে অবশ্যই পরীক্ষা করান।
৪. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এড়াতে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
৫. আপনি গর্ভাবস্থায় সাইক্লিং, হাঁটাচলা এবং স্ট্রেচিং করতে পারেন।
শরীরে যা যা প্রভাব
১. গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে গর্ভবতী মহিলার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।
২. গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সিজারিয়ান ডেলিভারির ঝুঁকি বাড়ে।
৩. নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
৪. নবজাতকের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ও কম রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কী কী খাবেন?
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো রোগ এড়াতে গর্ভাবস্থায় বাদাম খান। দুধ, গোটা শস্য, লেবু, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও থেকে পারেন। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এড়াতে সাদা ভাত, হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পনির, ক্যান্ডি, সোডা এবং ভাজা জিনিস খাবেন না।
আরও পড়ুন - 'মায়ের গল্প-পরীর স্বপ্ন...', এই মেসেজগুলিতে জানান শিশু দিবসের শুভেচ্ছা