scorecardresearch
 

Arthritis Pain: কম বয়সেই বাত ধরেছে? কিছু জিনিস ছোঁয়া স্রেফ ভুলে যান...

বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাঁটুর ব্যথা বেশ সাধারণ। আর্থ্রাইটিস এমনই একটি সমস্যা। আর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটুতে ব্যথা, ফোলা ও লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়। এমন অনেক জিনিস আছে যা আর্থ্রাইটিসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। আসুন জেনে নিই বাতের সমস্যা থাকলে কী কী জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত।

Advertisement
বয়সের আগেই আর্থ্রাইটিস হয়েছে? অবিলম্বে এই জিনিসগুলি থেকে দূরত্ব তৈরি করুন বয়সের আগেই আর্থ্রাইটিস হয়েছে? অবিলম্বে এই জিনিসগুলি থেকে দূরত্ব তৈরি করুন
হাইলাইটস
  • বয়সের আগেই আর্থ্রাইটিস হয়েছে?
  • অবিলম্বে এই জিনিসগুলি থেকে দূরত্ব তৈরি করুন

গাউট  হল একটি সাধারণ ধরনের আর্থ্রাইটিস যা জয়েন্ট এবং পায়ের আঙ্গুলকে প্রভাবিত করে। অনেক সময় বাতের ব্যথার লক্ষণ দেখা না গেলেও অনেকের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। আর্থ্রাইটিসের সমস্যার কারণে, একজন ব্যক্তি হাঁটু বাঁকানোর সময় ব্যথা, ফোলাভাব, লালভাব এবং তীব্র ব্যথা অনুভব করেন যা এক বা দুই সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। এমন অনেক জিনিস আছে যা বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক  বাতের সমস্যা থাকলে কী কী  জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত, তা না হলে আপনার সমস্যা আরও বাড়বে।

এই জিনিসগুলো বাতের ব্যথা বাড়ায়
 শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গাউট হয়। ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় যখন শরীর পিউরিন ভেঙে দেয়, এটি একটি রাসায়নিক যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরে এবং কিছু খাবারে পাওয়া যায়। ইউরিক অ্যাসিড শরীরে ভেঙে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। যখন এটি শরীর থেকে সঠিকভাবে ফ্লাশ না করা হয়, তখন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জয়েন্টগুলিতে সুই-আকৃতির ক্রিস্টালে পরিণত হয়। যার কারণে বাতের সমস্যা শুরু হয়।

 

 

এমন অনেক জিনিস আছে যা বাতের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে কী কী জিনিস খেলে বাতের ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা জানা জরুরি।

মাংস এবং সিফুড 
উচ্চ পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়, যা গেঁটে বাত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ পিউরিন যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে- 
রেড মিট, যেমন গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস এবং শুকরের মাংস 
অর্গান মিট  যেমন লিভার এবং কিডনি 
কিছু সামুদ্রিক খাবার যেমন টুনা, ট্রাউট, সার্জিন এবং অ্যাঙ্কোভিস।

Advertisement

যাইহোক, সমস্ত পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বা আপনার গাউটের ঝুঁকি বাড়ায় না। মটর, বিনস, মসুর ডাল, অ্যাসপারাগাস, পালং শাক এবং মাশরুমের মতো শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, তবে পরিমিতভাবে খাওয়া হলে বাতের ব্যথা হয় না।

অ্যালকোহল
বিয়ার, ওয়াইন এবং মদ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। আপনি যত বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল খাবেন, বাতের ঝুঁকি তত বাড়বে। কিন্তু একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করলেও পুরুষদের বাতের সমস্যা বাড়তে পারে । যে পুরুষরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুটি পানীয় পান করেন তাদের গাউটের ঝুঁকি ৩৬ শতাংশ বেশি যারা অ্যালকোহল পান করেন না তাদের তুলনায়। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালকোহল না খেলে বা খুব কম পরিমাণে পান  করলে বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

উচ্চ BMI লেভেল- উচ্চ BMI (বডি মাস ইনডেক্স) স্তর এবং ইউরিক অ্যাসিডের মধ্যে একটি লিঙ্ক রয়েছে। যাদের ওজন বেশি বা স্থূল তাদেরও গাউট হওয়ার প্রবণতা বেশি। এমন অবস্থায় ওজন কমিয়ে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যেমন কমানো যায়, তেমনি ভবিষ্যতে বাতের সমস্যা থেকেও বাঁচতে পারেন।

 

 

এই জিনিসগুলো বাতের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে
 নির্দিষ্ট ধরণের খাবার, পানীয় এবং জীবনধারা বাতের সমস্যাকে ট্রিগার করতে পারে। এই জিনিসগুলো গাউটের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে

স্ট্রেস- গবেষকরা বলছেন, মানসিক চাপের কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা গাউটের সমস্যা তৈরি করে। তাই বাতের ব্যথা এড়াতে চাইলে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।

অ্যাসপিরিন- কম মাত্রায় অ্যাসপিরিন গ্রহণ করলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা গাউটের ঝুঁকি দ্বিগুণ করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যাসপিরিনের খুব কম ডোজ গ্রহণের দু'দিন পর, রোগীদের আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু হৃদরোগের জন্য অ্যাসপিরিন ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি হৃদরোগের কারণে অ্যাসপিরিন গ্রহণ করেন তবে বাতের সমস্যা এড়াতে এটি খাওয়া বন্ধ করবেন না, বরং অ্যালকোহল এবং রেডি মিটের মতো বাতের সমস্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী জিনিসগুলি সম্পর্কে জেনে নিন।

ডিহাইড্রেশন- ডিহাইড্রেশনের কারণে খুব অল্প পরিমাণে প্রস্রাব শরীর থেকে বের হতে পারে, যার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমাতে সর্বোচ্চ পরিমাণে জল পান করা জরুরি।

তাপমাত্রার পরিবর্তন- বাতের সমস্যায় আবহাওয়াও দারুণ প্রভাব ফেলে। উচ্চ তাপমাত্রা এবং কম আর্দ্রতার কারণে বাতের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। উচ্চ আর্দ্রতাও গাউটের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Advertisement