scorecardresearch
 

সরকার সাহায্য করবে, কিন্তু নেবে কে? ধন্দ উত্তরের পর্যটন সার্কিটে

গোটা দেশের প্রায় ১১ হাজার টুরিস্ট গাইড এবং আঞ্চলিক স্টেকহোল্ডারদের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে চাইলে তাদের সহযোগিতা করবে বলেও জানানো হয়েছে। এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। তরাই ও ডুয়ার্সের পর্যটন স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই রেজিস্ট্রেশন নেই। না কেন্দ্র, না রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়েছেন তাঁরা। ফলে সরকার সাহায্য করতে চাইলেও, সাহায্য নেবে কে, এই নিয়েই এখন বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement
নির্মলা সীতারমন-ফাইল ছবি নির্মলা সীতারমন-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • দুহাজার পর্যটন ব্যবসায়ীর মধ্যে একশো নথিভুক্ত
  • সরকারি সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম
  • ফলে মাথায় হাত পর্যটন সার্কিটের

ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হতেই নতুন চিন্তা

পর্যটনের ক্ষতিপূরণের জন্য সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একগুচ্ছ অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রস্তাব পেশ করেছেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক পর্যটন এর সঙ্গে যুক্ত স্টেকহোল্ডার এবং টুরিস্ট গাইড এর বিশেষ করে বেনিফিসারি হিসেবে চিহ্নিত করে আর্থিক সাহায্য দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন এই প্রকল্পের সাহায্য কারা নিতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধন্দ। 

বেশিরভাগেরই রেজিস্ট্রেশন নেই, ফলে বিপাকে

গোটা দেশের প্রায় ১১ হাজার টুরিস্ট গাইড এবং আঞ্চলিক স্টেকহোল্ডারদের সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই ঘোষণায় বলা রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে চাইলে তাদের সহযোগিতা করবে বলেও জানানো হয়েছে। এবার সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্য জায়গায়। তরাই ও ডুয়ার্সের পর্যটন স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই রেজিস্ট্রেশন নেই। না কেন্দ্র, না রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়েছেন তাঁরা।

সাহায্য আছে, নেওয়ার লোক নেই

ফলে সরকার সাহায্য করতে চাইলেও, সাহায্য নেবে কে, এই নিয়েই এখন বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত ট্যুর অপারেটর এর সংখ্যা মেরে কেটে একশোর বেশি হবে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত পর্যটন ব্যবসায়ী সংস্থা রয়েছে জনা ১৫। ফলে মাথায় হাত তাদের।

এইচএইচডিটিএন কি বলছে

উত্তরের অন্যতম বড় পর্যটন স্টেক হোল্ডারদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল। এই পরিস্থিতির জন্য নিজেদেরই দায়ী করেন তিনি। বলেন, আমরা অনেকবারই বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলোকে নথিভুক্ত করে রাখতে বলেছি। কিন্তু অনেকেই তা গা করেন না। এতে আমাদেরই ব্যর্থতা। আমরা সমস্তটা হয়তো বুঝিয়ে উঠতে পারিনি। এখন এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ সংস্থায় সাহায্য পাবেন কি না, তা নিয়ে আমরা নিজেরাই ধন্দে রয়েছি।

Advertisement

এতোয়ার কি বক্তব্য

ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক দেবাশিস মৈত্রের গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, রাজ্য-কেন্দ্র মিলিয়ে শ'খানেক লোক এই সুবিধা পেতে পারেন। এখন যারা নথিভূক্ত রয়েছেন, তাঁরাই হয়তো পাবেন। বাকিদের জন্য কিছু করতে না পারলে খারাপ লাগবে। কিন্তু কিছু করার নেই। তিনি আক্ষেপ করেন, অনেকেই অপ্রচলিত পদ্ধতিতে ব্যবসা করেন। কারুর অফিস নেই। কারও রেজিস্ট্রেশন নেই। কেউ কেউ জিএসটিও দেন না। ফলে এই ধরণের বিপদের সময় তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বেন।

কয়েক হাজার গাইড ও স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে চিন্তা

তরাই-ডুয়ার্স পর্যটন সার্কিটের প্রায় দু'হাজারের বেশি পর্যটন ব্যবসায়ী রয়েছেন। গাইড রয়েছেন আরও হাজার পাঁচেক। যার মধ্যে সিংহভাগই নথিভূক্ত নন। তাঁদের জন্যই এখন মূল চিন্তা।

 

Advertisement