জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে অসুখ-বিসুখ। বর্তমানে ডায়াবেটিস তেমনই একটি রোগ। অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, সারাদিন বসে কাজ করার ফলে বাড়ছে সুগার। একবার সুগার ধরলে তা সহজে আয়ত্তে আনা যায় না। তবে ওষুধ, ঘরোয়া টোটকা এবং শরীরচর্চা করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
শরীরের অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের ঘাটতি হলে বা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। যে কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। একেই বলে ডায়াবেটিস।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, স্থূলতা, শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিসে হয়। সুগার হলে বেশি খিদে পায়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি, দ্রুত ওজন বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যা এবং খিটখিটে ভাব দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। সবার আগে রক্ত পরীক্ষা করানো দরকার।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের পাশাপাশি ডায়েটে বিশেষ যত্ন নিন। গরমকালে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে একটি সবুজ চাটনি খেতে পারেন। যা কমিয়ে দেবে সুগার। এই চাটনি দুপুর ও রাতের খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। তা খেতেও সুস্বাদু।
আরও পড়ুন- লিভার খারাপের এই ৬ লক্ষণ দেখা দেয় মুখেই, সতর্ক না হলে বিপদ
সবুজ চাটনি তৈরির উপকরণ
২টি আমলা, ৫০ গ্রাম রসুন, ৩০ গ্রাম পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, একটি টমেটো, ৩-৪টে কাঁচা লঙ্কা, স্বাদ অনুযায়ী বিটনুন, স্বাদ অনুযায়ী লেবু।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবুজ চাটনি কীভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে আমলার বীজ তুলে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এর সঙ্গে টমেটো, সবুজ ধনে, কাঁচা লঙ্কা ইত্যাদি কুচি করে নিন। এরপর মিক্সিতে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এতে লেবু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আমলা-পুদিনা চাটনি প্রস্তুত। খিচুড়ি, পোহা, রুটির সঙ্গে প্রতিদিন খেতে পারেন।
সবুজ চাটনি খাওয়ার উপকারিতা
আমলা, রসুনে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি এমন অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ পাওয়া যায়, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি পুদিনা ও ধনেপাতা খেলে শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি হয়। এর পাশাপাশি দূর হয় খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যাও। গরমকালে খেলে পরিপাকতন্ত্রও সুস্থ থাকে। খিদে না পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।