scorecardresearch
 

Green Mango Benefits: ছাতিফাটা গরমে প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গী করুন কাঁচা আম

Green Mango Benefits: : কাঁচা আম সুগার লেভেল কমাতে সহায়ক, কাঁচা আম শরীরের নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে খুবই সহায়ক। বিশেষ করে গরমে এটি আপনাকে দারুণ উপকার দেয়। আসুন জেনে নিই, কীভাবে কাজ করবে কাঁচা আম।

Advertisement
ছাতিফাটা গরমে প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গী করুন কাঁচা আম ছাতিফাটা গরমে প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গী করুন কাঁচা আম
হাইলাইটস
  • হাজার গুণে ভরপুর কাঁচা আম
  • গুণ জানলে খেতেই হবে কাঁচা আম
  • গ্রীষ্মকালে এটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা দূর করে

গ্রীষ্মে কাঁচা আম খেলে আপনি শুধু সুস্থই থাকতে পারবেন না, অনেক মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতেও  পারবেন। কাঁচা আম শরীরে জল  সরবরাহে সাহায্য করে, যা আমাদের হজমের জন্য অপরিহার্য। এটি নিয়মিত খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়। এটি গ্রীষ্ম ঋতুর প্রধান ফল এবং একে ফলের রাজাও বলা হয়। ভিটামিন এ, সি এবং ই ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান কাঁচা আমে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গ্রীষ্ম ঋতু সবচেয়ে বেশি প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্যের উপর পড়ে, তাই খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।  কাঁচা আম স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।

কাঁচা আম কীসের সঙ্গে খাবেন

গ্রীষ্মের মরশুমে আপনি এমনি, বা সাধারণ বা বিট লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। সুগারের রোগীদের জন্য এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে এর সেবন খুবই উপকারী। 

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

১. অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পান গরমে মশলাদার খাবার খেলে প্রায়ই পেটে অ্যাসিডিটি হয়। আপনিও যদি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে বিটনুন দিয়ে কাঁচা আম খান। এতে খাবার সহজে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস তৈরি হবে না। কাঁচা আম খেলেও ওজন কমতে পারে। তাই পেট যদি বাড়তে থাকে তাহলে কাঁচা আম খান। কয়েকদিন পর শরীরে পরিবর্তন দেখা যাবে। আপনার যদি গ্যাস বা বদহজমের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে কাঁচা আম খাওয়া আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। এটি আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং সমস্ত পেটের ব্যাধি মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।

২. হিটস্ট্রোক ও লু থেকে রক্ষায় সহায়ক গ্রীষ্মকালে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়া গরমে শরীরে জল  সরবরাহের জন্য ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে  কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে। করোনার সময় এবং গ্রীষ্মের মরসুমে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে কাঁচা আমের চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে না।  এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

৪. কাঁচা আম  শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে আয়রন সরবরাহ করতেও ব্যবহৃত হয়। আপনারও যদি সুগারের অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

৫. কাঁচা আম শরীরে জল সরবরাহে সহায়ক, যা আমাদের হজমের জন্য প্রয়োজনীয়। এতে রয়েছে অ্যাসিড, যার কারণে গরমে হজম সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো যায়। এতে থাকা পেকটিন সাধারণ পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেট খারাপ, পাইলস, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় সাহায্য করে। 

৬. ত্বকের উজ্জ্বলতায় নিয়মিত কাঁচা আম খেলে চুলের রং কালো থাকে এবং এটি ত্বককে দাগহীন ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

৭. ঘামের সমস্যায় যদি আপনি অতিরিক্ত ঘামেন, তবে কাঁচা আমের সরবত বা যে কোনও আকারে এর ব্যবহার সহজেই এই সমস্যাটি দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত হবে।

৮. দিনে কতটা কাঁচা আম খাওয়া উচিত একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কাঁচা আম খেতে পারেন। অন্যদিকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম আম খাওয়া ভালো। 

(তবে কোনও কিছু খাওয়া নিয়মিত শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সবার শরীরে কাঁচা আম সহ্য নাও হতে পারে)

 

Advertisement