Green Tea Benefits: ওজন কমানো থেকে, ফিট থাকা, ত্বকের তারুণ্য় ধরে রাখা থেকে শুরু করে মন শান্ত রাখা, গ্রিন টি পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। সব বয়সের মানুষই এই চা পান করতে পারেন। দুধের চা শরীরের ক্ষতি করে, তবে গ্রিন টি তা করে না।
এক সময় গ্রিন-টি শুধুমাত্র ফিটনেস বজায় রাখতে খাোয়া হতো। কারণ গ্রিন-টির উপকারিতা শুধু ওজন কমানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সেবন হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আর কী কী করে গ্রিন টি?
ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকর
গ্রিন টি-তে পলিফেনল পাওয়া যায়। এগুলি শরীরে ক্রমবর্ধমান ক্যান্সার কোষগুলিকে বৃদ্ধি করা রুখে দেয়। তাই, যখন ফাস্টফুড এবং কীটনাশক যুক্ত খাবারের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে, তখন আমাদের সবার উচিত গ্রিন টি খাওয়া শুরু করা।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে
বর্ধিত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম (ACE) প্রয়োজন এবং এই চা প্রাকৃতিক ACE হিসাবে কাজ করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এর সেবন খুবই সহায়ক।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
গ্রিন টি ধমনী পরিষ্কার রাখে। এটি হার্ট ব্লকেজের ঝুঁকি কমায় এবং হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
সুগারে উপকারী
গ্রিন টি খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এর উৎপাদন ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যায় উপকার করে।
গ্রিন টি পান করার সঠিক সময়
- গ্রিন টি পানের উপযুক্ত সময় ব্রেকফাস্ট বা খাবারের এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর। খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও রাতে এটি পান করা এড়িয়ে চলুন, না হলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
- গ্রিন টি পানের সঠিক উপায় হল চিনি এবং মধু যোগ না করে পান করা। যখনই গ্রিন-টি ব্যাগ ব্যবহার করবেন, টি-ব্যাগ গরম জলে এক থেকে দেড় মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এর চেয়ে বেশিক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে চা তেতো হয়ে যেতে পারে।