কেউ কেউ সকাল শুরু করেন চা দিয়ে, যার মধ্যে দুধ চা ও সবুজ চা-এর নাম আসে সবার আগে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে গ্রিন টি সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি ফিটনেস নিয়ে চিন্তা করেন বা ফিট থাকার চেষ্টা করেন, তবে তিনি গ্রিন টিও খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি খেলে ত্বকের গুণমান, মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকে। গ্রিন টি-এর যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। মানুষ প্রায়ই ফিট থাকার জন্য সকালে ব্যায়ামের পরে খালি পেটে গ্রিন টি খান, যা খুবই ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। আসুন এই নিবন্ধের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত কিনা।
গ্রিন টি কি খালি পেটে খাওয়া উচিত?
পুষ্টিবিদ ডাঃ রোহিনী পাটিলের মতে, খালি পেটে গ্রিন টি পান করলে পেট ব্যাথা হতে পারে। আসলে, গ্রিন টি-তে ট্যানিন নামে পরিচিত পলিফেনল থাকে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ায়, যা পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। সবুজ সবসময় খাওয়ার পরে বা মাঝে খাওয়া উচিত। এছাড়াও, গ্রিন টি-তে ক্যাফেইন পাওয়া যায়, যা গ্যাস্ট্রিক জুস পাতলা করে পেটের ক্ষতি করতে পারে। এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মাথা ঘোরা, বমির মতো সমস্যাও হতে পারে।
গ্রিন টি পান করার সঠিক উপায় কি গ্রিন টি সকালের নাস্তার এক ঘন্টা আগে পান করা যেতে পারে। সকালে এবং সন্ধ্যায় গ্রিন টি পান করা মেটাবলিজমকে দ্রুত করে এবং ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। কেউ কেউ গ্রিন টি-তে দুধ ও চিনি মিশিয়ে পান করেন। গ্রিন টি-তে চিনি ও দুধ মেশানো থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। গ্রিন টি পান করার সঠিক সময় দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ গ্রিন টি পান করা উচিত। খুব বেশি গ্রিন টি খেলে লিভারের সমস্যা হতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে গ্রিন টি খাবেন না, এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
গ্রিন টি পানের উপকারিতা ১. ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি-তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা মেটাবলিজম বাড়ায়। মেটাবলিজম বৃদ্ধি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২. এটি হার্টের জন্যও ভাল প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ গ্রিন টি পান করা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি হার্ট সম্পর্কিত রোগেও উপকার করতে পারে।