Zinc For Hair Growth: সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভারসাম্য থাকা জরুরি। জিঙ্ক হল এমনই একটি খনিজ যা আমাদের শরীরের অনেক কিছুর জন্য দায়ী। শরীরে জিঙ্কের মাত্রা কমে গেলে প্রবলভাবে চুল পড়তে থাকে। মাথা ফাঁকা হয়ে টাক পড়ে। জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরের টিস্যুগুলিকেও মেরামত করে। শরীরে জিঙ্ক খুব বেশি কমে গেলে স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া না। জিঙ্ক শরীরে কমে গেলে প্রজনন ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তাই শরীরকে দিন পর্যাপ্ত জিঙ্ক। এর জন্য কী করবেন? বাড়িতে ঘরোয়া উপায়েই তা মেলা সম্ভব।
চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেক সময় অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের কারণে হয়। প্রায়ই থাইরয়েড, পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থায় অ্যান্ড্রোজেন হরমোন শরীরে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। যে কারণে চুল পড়া শুরু হয় এবং চুলের বৃদ্ধিও কমে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে, কম চুল এবং ধীরে চুল বৃদ্ধি জিনের কারণেও হয়। যদি আপনার মা বা বাবার চুল লম্বা না হয়। তখন আপনার উপরও জিনের প্রভাবের কারণে চুলের বৃদ্ধি কম হয়। এছাড়াও, স্ট্রেস, থায়রয়েডের সমস্যা থেকেও চুল পড়তে পারে।
যে খাবারগুলি শরীরে জিঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করে-
তিল ও কুমড়ার বীজ: কুমড়ো, কুমড়োর বীজ, তিলেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও, এই জিনিসগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এগুলি খেলে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হয়।
সব্জি ও ডাল খান: জিঙ্কের ঘাটতি হলে সবজি বেশি করে খেতে হবে। এছাড়া ছোলা, মসুর ডাল এবং তুর ডাল, শিম ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলির মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়।
মাশরুম: জিঙ্কের ঘাটতি পূরণের জন্য খাদ্যতালিকায় মাশরুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুমে ভরপুর ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং প্রোটিনের থাকে। যা জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
বাদাম: বাদামে শুধু আয়রন, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকে না, সেই সঙ্গে জিঙ্কও থাকে এতে।