আগে বয়স বৃদ্ধির অন্যতম লক্ষণ ছিল চুল পড়া। তবে বর্তমানে অনেক কমবয়সিদেরও চুল ঝরা বা টাক পড়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যদিও চুল পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন প্রচণ্ড রোদ, ধুলোবালি, মাটি, দূষণ, শরীরে পুষ্টির অভাব ইত্যাদি। তবে অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল ধোওয়ার সময় আমরা সাধারণত কয়েকটি বিষয়ে নজর দিই না। আর যার ফলে অজান্তেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল। চুল পড়ে দেখা যায় টাক। তাহলে চলুন জেনে নিই, চুল ধোয়া বা স্নানের সময় ঠিক কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সঠিকভাবে চুল ধোয়া
শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। মনে রাখবেন শুধুমাত্র হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এছাড়াও, চুলের বিশেষ যত্ন নিন। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করবেন না। সপ্তাহে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুন। তারপর চুলে হালকা ম্যাসাজ করুন। তাতে চুলের উপকার হবে।
সাধারণ জল ব্যবহার করুন
মজবুত চুল প্রত্যেকেই চান। তাই চুল ধোয়ার সময় কখনওই খুব গরম বা খুব ঠান্ডা জল ব্যবহার করবেন না। কারণ উভয় জলই চুলের ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে স্বাভাবিক জল ব্যবহার করুন। যদি জল থেকে ময়লা বা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে চান তাহলে গরম করার পর সেটি ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন।
কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
যখন চুলে শ্যাম্পু লাগান, তখন কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ডিপ কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। তবে চেষ্টা করবেন সেটি যেন মাথার ত্বকে না লাগে। তাতে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।
এভাবে চুল শুকোন
ধোয়ার পাশাপাশি চুল শুকানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেই জন্য সবসময় পরিষ্কার সুতির তোয়ালে ব্যবহার করুন। হালকা করে তোয়ালে দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন। কখনওই বেশি বল প্রয়োগ করবেন না। চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি চুলের বেশি ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন - ছবিতে কোনও বল দেখতে পাচ্ছেন? পেলে আপনার দৃষ্টি তুখোড়