Harmful Side Effects Of Air Conditioner: ভারতে গ্রীষ্মকালে এখন এসি ছাড়া থাকা খুবই কষ্টকর! গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ বাজারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বা এয়ার কন্ডিশনারের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনের বেলা অফিস হোক বা সন্ধের পর বাড়িতে, গরম থেকে বাঁচতে আমরা সারাক্ষণ এসি-তেই থাকতে পছন্দ করি। গ্রীষ্মকালে এখানকার ৩৮-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শুধু ঘরে নয়, গাড়ি-বাসে-ট্রেনেও এসির ঠান্ডা হাওয়ার আশা করেন অনেকে একটু স্বস্তির জন্য। কিন্তু এসির অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে!
ঝলসানো তাপ থেকে মুক্তি পেতে এয়ার কন্ডিশনার আপনাকে সাহায্য করে বটে, তবে আপনি যদি দিনের বেশিরভাগ সময় এসির হাওয়ায় কাটান, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এর অসুবিধাগুলো কী কী...
আরও পড়ুন: ভাইরাল জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কেন? উত্তর দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা
এসির অতিরিক্ত ব্যবহার যে সব স্বাস্থ্য-সমস্যা হতে পারে:
১) এয়ার কন্ডিশনার বাতাসকে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয়। যার ফলে মুখ-হাত-পা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে জন্য মাঝে মধ্যে এসি রুম থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে হবে।
২) এয়ার কন্ডিশনার ঘরের আর্দ্রতাকে বাষ্পীভূত করে ঘর শীতল করে, যার ফলে ঘন ঘন তৃষ্ণা বোধ তৈরি হতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এসি ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকলে বার বার জল পান করা উচিত।
৩) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যারা অতিরিক্ত সময় কাটান তাদের মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসির তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে। ঘর খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলেই চোখ-মাথা-গা-হাত-পা ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
৪) যারা সবসময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর-গাড়িতে দিনরাত সময় কাটান বা থাকেন, বাকিদের তুলনায় তাদের বেশি ক্লান্তি বোধ ও দুর্বলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই একটানা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর-গাড়িতে না থাকাই ভাল।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য মেনে চলার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।