Cinnamon Benefits:লিঙ্গ শিথিলতা-বন্ধ্যাত্ব দূর থেকে ওজন হ্রাস,ওষুধের নাম দারুচিনি

আপনি মসলা হিসেবে দারুচিনি বহুবার ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে দারুচিনি অনেক রোগ সারাতে সক্ষম? এটি একটি গাছের বাকল। যা অনেক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। এটিতে প্রদাহ বিরোধী, সংক্রামক বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার। যা অনেক রোগ দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে।

এগুলি হল এর উপকারিতা 
১. দারুচিনি জয়েন্টের ব্যথা কমাতে একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এক কাপ গরম জলে  দারুচিনির গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে খেলে ব্যথা উপশম হয়।
২. লেবুর রসের সাথে দারুচিনি মিশিয়ে লাগালে মুখের ব্রণ সেরে যায়। 
৩. পেটে ব্যথা ও গ্যাসের সমস্যায় দারুচিনি ও মধু একসঙ্গে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
৪. চুল পড়া বন্ধ করতে অলিভ অয়েলে মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে স্নানের  আগে ৩০ মিনিট লাগিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে।
৫. সর্দি ও ফ্লু হলে দারুচিনির গুড়ো জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে খান। শীঘ্রই আপনি আরাম পাবেন। 
৬. ওজন কমাতে দারুচিনি খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়। জলে  দারুচিনি ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করুন।

 

 

দারুচিনির জল কীভাবে তৈরি করবেন?
ঘরে রাখা মসলার মধ্যে  দারুচিনির গুরুত্ব অনেক বেশি। এতে অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। এটি প্রায়শই গরম মশলা এবং টেম্পারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, এটি খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এছাড়াও এটি মিষ্টি, নোনতা, বেকিং এবং স্ন্যাকসেও ব্যবহৃত হয়। এসব ছাড়াও যদি সঠিক পরিমাণে দারুচিনির জল পান করা হয়, তাহলে মহিলারা অনেক কঠিন রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন। দারুচিনির জল তৈরি করার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমে গরম জলে দারুচিনির গুঁড়ো দিন। আর এক ঘণ্টা পর ফিল্টার করে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া কিছুক্ষণ দারুচিনি জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। আর সেই জল সরাসরি খেতে পারেন।

এসব রোগে উপকারী
আসলে দারুচিনিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-বায়োটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
১. PCOS (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম) মহিলাদের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ডিম্বাশয়ের আকার বাড়তে থাকে কারণ সিস্ট ছোট হয়। এমন অবস্থায় দারুচিনির জল  মিশিয়ে মধু খাওয়া যেতে পারে।
২. ডায়াবেটিস রোগীরাও দারুচিনি জল খেতে পারেন। এটি ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৩. পিরিয়ডের সময় ব্যথাতেও দারুচিনির জল খুবই উপকারী। এই সময়ে মহিলারা প্রতিদিন এক কাপ দারুচিনির জল পান করতে পারেন।
৪. দারুচিনিতে পলিফেনল এবং প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে এবং পাচনতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে।
৫. দারুচিনির জলে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।
৬. দারুচিনির জলও ওজন কমাতে খুবই সহায়ক। প্রকৃতপক্ষে, এটি খাই খাই ভাব  কমায় এবং আমরা ক্যালোরি পূর্ণ খাওয়া থেকে রক্ষা পাই।

 

 

পুরুষদের জন্য দারুচিনি
এতক্ষণে দারুচিনির উপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই জানা হয়ে গেছে, তবে পুরুষরা যদি এটি পান করেন তবে তারাও শক্তিশালী উপকার পাবেন। সব শ্রেণীর মানুষ এটি সেবন করে উপকার পায়। পুরুষরা দারুচিনি খেলে অনেক উপকার পান। 

পুরুষদের জন্য দারুচিনি এভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে
দারুচিনি পিষে পাউডার বানিয়ে দুধ বা হালকা গরম জলের সাথে খেতে পারেন। এ ছাড়া দারুচিনি চা তৈরি করা যেতে পারে। দারুচিনিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অর্থাৎ এটি খেলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দারুচিনির দুধ পান করলে আপনার শরীর ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টি পায়। শুধু তাই নয়, দারুচিনির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই  আপনার খাওয়া উচিত।

পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ শিথিলতা দূর করতে সহায়ক
যেসব পুরুষের ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই দারুচিনি খাওয়া উচিত। এছাড়াও আপনি প্রতিদিন দারুচিনি দুধে যোগ করে খেতে পারেন। মনে করা হয় যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের কারণে বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়। এমন পরিস্থিতিতে এটি এড়াতে দারুচিনি খাওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, আপনার যদি কোনো ধরনের ত্বকে ইনফেকশন থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শেই দারুচিনি খেতে পারেন।

 

 

শক্তি বৃদ্ধি পায়
এছাড়া দারুচিনি খেলে পুরুষের শক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি প্রতিদিন দুধে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো পান করেন তবে আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনি এটি হিং এবং আদা দিয়েও খেতে পারেন।

এসব রোগ থেকে মুক্তি দেয়
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দারুচিনির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ডায়াবেটিস আছে এমন পুরুষদের জন্যও দারুচিনি উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, আপনি দারুচিনি জল বা দারুচিনি চা খেতে পারেন। পুরুষদের জয়েন্টের ব্যথায়ও দারুচিনি উপকারী।

বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
দারুচিনি মেটাবলিজম বাড়াতেও উপকারী। যেসব পুরুষদের ঘুমে সমস্যা রয়েছে তাদের  জন্যও দারুচিনি উপকারী। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে অবশ্যই ভালো ঘুম হবে।

দারুচিনি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করে
দারুচিনি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তবে, আপনি যদি কোনও গুরুতর রোগের রোগী হন তাহলে দারুচিনি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।