সুগারের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন ৪০-পেরোনোর আগেই। দায়ী অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। লাইফস্টাইলের জেরেই নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠছে সুগারের ওষুধ। সুগারকে নিয়েই যখন জীবন চলতে হবে, তখন সুস্বাস্থ্য থাকার উপায় খুঁজছেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। চায়ে চিনি বন্ধ করলেই যে সুগার বশে থাকবে, এমন নয়। আপনাকে ফাস্ট ফুড, ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে। বাড়ির তৈরি শাকসবজির তরকারি খেয়েই সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর যার মধ্যে অন্যতম পটল।
পটলের গুণ
সস্তার এই সবজি খেলেই কিন্তু একদম নিয়ন্ত্রণে থাকবে পটল। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী পটল। এই আনাজের গ্লাইসেমিক সূচক কম। পটল খেলে সুগার লেভেল ওঠা-নামা করে না। এতে ভিটামিন এ, সি-এর মতো পুষ্টি রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি এবং ক্যালশিয়ামের মতো ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এই সবজিতে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও খোঁজ মেলে।
পটল খেলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস একটি ঘাতক অসুখ। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই রোগকে বশে রাখতেই হবে। আর সেই কাজে আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে পটল। কারণ এই সবজিতে মজুত একাধিক উপাদান কিন্তু ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, এতে উপস্থিত ফাইবারের গুণে রক্তে শর্করার মাত্রাও তেমন একটা বাড়ে না। আর সেই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত পটল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনারা শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে পারবেন।
কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে পটল
কোলেস্টেরল বাড়লেই আপনার পিছু নিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুখ। তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে কোলেস্টেরল বশে রাখার পরামর্শ দেন। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পটল। তাই হার্টকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে আজ থেকেই এই খাবারের সঙ্গে পাতিয়ে নিন বন্ধুত্ব। পটল আপনার স্বাস্থ্যকে ভাল রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেবে।