ফলের দোকানে খুব একটা পাওয়া না গেলেও, আম-পেয়ারা যারা মাখে, তাদের কাছে অনায়াসেই দেখতে পাওয়া যায় সবুজ রঙের এই ফলটিকে। সকলের কাছে যেটি পরিচিত কামরাঙা নামে। গড়নের জন্য ইংরেজিতে ডাকা হয় ‘স্টার ফ্রুট’ বলে। তবে বাজারে নামী দামী ফলের ভিড়ে এর দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু এর উপকারিতা দেখলে চোখ কপালে ওঠার জোগার।
কামরাঙার পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গায় আছে ৫০ কিলো ক্যালোরি খাদ্য শক্তি, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন, ০.১ গ্রাম ফ্যাট, ৫.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। মানবদেহে কামরাঙ্গা ঔষধির মত কাজ করে। এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
হজম ক্রিয়া ভাল রাখে
কামরাঙায় প্রচুর ফাইবার আছে৷ এই উপাদানের ফলে পরিপাক ক্রিয়া ঠিক থাকে৷ ইরেগুলার বাওয়েল মোশন সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়৷ শরীরে উপকারী মাইক্রো অর্গানিজমের পরিমাণ বাড়ে। কামরাঙ্গা আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে।
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের করে দেয়
কোলেস্টেরল যাদের রয়েছে তারা এই ফল খেতে পারেন। সল্যুবল ফাইবার থাকার কারণে কামরাঙা শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছারাও এতে কিছু পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
ত্বক ভাল রাখে
কামরাঙ্গার আছে জীবাণুনাশক ক্ষমতা যা ত্বকের নানা রকমের জটিলতা যেমন- ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমাধানে সাহায্য করে। ত্বক ভালো রাখে।
ডায়াবেটিসে কার্যকর
যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তারা নিয়মিত কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাবেন। ভিটামিন সি ভালো পরিমাণে থাকায় এটি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি দাঁত, মাড়ি ও হাড় সুস্থ রাখে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
রোগপ্রতিরোধকারী ক্ষমতা থাকায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য সমস্যায় এই ফল প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকে এলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে
এছাড়াও কামরাঙ্গার রয়েছে নানা গুণ। এর পাতা, কচি ফল সবকিছুই ঔষধির কাজ করে। কামরাঙ্গার পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।