Instant Cough Relief: মরশুম বদলের সময় আমাদের দুর্দশার শেষ থাকে না। সর্দি-কাশি নাজেহাল করে দেয়। শীত ঢোকা ও বিদায়ের সময় হোক কিংবা বর্ষা বিদায় কিংবা ঢোকার সময়, একই ভাবে কাশিতে কষ্ট পেতে হয়। আর একবার কাশি শুরু হলে সহজে ছাড়ে না। ওষুধ খেয়েও কাশি থেকে যায়। আমরা তুলসি, মধু, বাসকপাতা থেকে নানা রকম পদ্ধতি অবলম্বন করেও কাশি সারাতে পারি না। কিন্তু এমন পদ্ধতি রয়েছে, যাতে একদিনেই কাশি সারানো সম্ভব। জানা নেই, তাই কমে না। আসুন আজকে আপনাকে সহজে ঘরোয়া উপায়ে ২৪ ঘন্টায় কাশি সারানোর উপায় জানিয়ে দিই।
পিঁয়াজে আছে এই গুণ
পিঁয়াজ ব্যবহার করে মাত্র একদিনেই কাশি সারিয়ে তোলা সম্ভব। সর্দিতেও পিঁয়াজ ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায় কাঁচা ব্যবহারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, পিঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার ও ফ্লাভোনয়েড নামক হৃদরোগে ভালো ফল দেয়। এ ছাড়া বাতরোগ উপশম এবং ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও এসব উপাদান ভূমিকা রাখে। সর্দিকাশি কমাতে পিঁয়াজ দুভাবে ব্যবহার করা যায়। আজকে আমরা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব।
১. এক কেজি পিঁয়াজ আর তিন লিটার জল নিন।
২.পিঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ টুকরো করে কাটতে হবে। কাটা পিঁয়াজ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে জল দিন। পাত্রটির জল গরম করুন। জল অর্ধেক হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এবার নামিয়ে এটি ঠান্ডা হতে দিন। কয়েকবার নেড়ে দিন। স্বাদের জন্য এর মধ্যে মধু বা লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে।
৩.দিনে ২ বার দেড় গ্লাস করে পান করুন।
এছাড়া আরেকভাবেও কাশি কমাতে পিঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন
এতে একটি অর্গানিক আপেল ও একটি মাঝারি আকারের পিঁয়াজ নিয়ে নিন। সেই সঙ্গে ১০ টি আখরোট। এবার পিঁয়াজ ধুয়ে টুকরো করে নিন। আপেলও ধুয়ে টুকরো করে নিতে পারেন। আখরোট ভেঙে ছোট টুকরো করে নিতে হবে। একটি পাত্রে সব উপাদান নিয়ে তাতে জল মেশান। জল অর্ধেক না হওয়া গরম করতে থাকুন। পরে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। স্বাদের জন্য মধু বা লেবুর রস দিতে পারেন। দিনে দুই থেকে তিনবার এই জল খেতে থাকুন। কাশি কমে যাবে।