অফিসে কাজের ফাঁকে হোক অথবা বিকেলে মুড়ি-চানাচুর খেতে কম-বেশি সকলেই ভালোবাসি আমরা। অথবা দোকান থেকে ঝালমুড়ি, ভেলপুরী সপ্তাহে এক-দুদিন তো হয়েই থাকে। বাঙালির সন্ধ্যের খাবার চায়ের সঙ্গে মুড়ি ও চানাচুর। কিন্তু সস্তার এই খাবার খেলেই নাকি স্বাস্থ্যের বারোটা বাজতে বেশি দেরি হবে না। কিন্তু মুড়ি খেলে ঠিক কী কী অসুবিধে হতে পারে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের
ডায়াবেটিস রোগীদের এমন খাবার খেতে হবে, যার ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ কম। কারণ যে-সব খাবারে ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ বেশি, সেগুলি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মুড়ির ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ বেশি। এটি কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চে ভরপুর। কাজেই, হুট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের মুড়ি না খাওয়াই ভাল।
ইউরিক অ্যাসিড
শুধু ডায়াবেটিস নয়, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণও বাড়তে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা মুড়ি এড়িয়ে যাবেন।
মিলবে না পুষ্টি
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই খাবারে তেমন কোনও পুষ্টি উপাদান নেই বললেই চলে। তাই নিয়মিত মুড়ি খেলে দেহে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর সেই সুবাদে কমে যেতে পারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে আপনাকে মুড়ি খাওয়া কমাতে হবে।
বাড়তে পারে ওজন
মুড়ির ক্যালোরি ভ্যালু খুব একটা বেশি নয়। তবে মুড়ির সঙ্গে চানাচুর, চপ মেখে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তার ক্যালোরি ভ্যালু অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন মুড়ি মাখা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করুন। বরং তার বদলে জল মুড়ি বা শুধু মুড়ি খান।
অল্প আধটু খেতেই পারেন
বিশেষজ্ঞদের কথায়, মুড়ি কিন্তু বিষ নয়। বরং এই খাবার টিফিনে খেলে অনেক উপকারই পাবেন। তাই প্রতিদিন মুড়ি খান। তবে খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে দিনে ১ বাটির বেশি মুড়ি খাওয়া উচিত হবে না।