scorecardresearch
 

Sleep Hours For Healthy Heart: ঘুম কম হলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি, দিনে ক'ঘণ্টার নিদ্রা দরকার?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কত ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত? আর ঘুমের অভাবে হার্ট সংক্রান্ত কী সমস্যা হতে পারে?  খাবার যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই ঘুম।

Advertisement
হার্ট সুস্থ রাখতে কতক্ষণ ঘুম দরকার? হার্ট সুস্থ রাখতে কতক্ষণ ঘুম দরকার?
হাইলাইটস
  • শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে হার্টঅ্যাটাক থেকে বাঁচা যায় না।
  • খাদ্যতালিকায় তেলেভাজা, মশালা খাবার বাদ দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও দরকার।
  • আপনি কি জানেন কম ঘুম বা তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙার কারণেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?

গোটা বিশ্বে দিনে দিনে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা। শুধু মধ্যবয়সীরাই নন তরুণ, এমনকি সুস্থরা শিকার হচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকের। আসলে হার্ট অ্যাটাক একটা কারণ নেই। শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে হার্টঅ্যাটাক থেকে বাঁচা যায় না। খাদ্যতালিকায় তেলেভাজা, মশালা খাবার বাদ দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও দরকার। অনেকেই ভুলে যান কেবল ডায়েট ও ঘাম ঝরিয়ে হার্টঅ্যাটাক থেকে মুক্তি মেলে না। আপনি কি জানেন কম ঘুম বা তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙার কারণেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও তা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তাহলে দিনে ক'ঘণ্টা ঘুমোবেন? 

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কত ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত? আর ঘুমের অভাবে হার্ট সংক্রান্ত কী সমস্যা হতে পারে?  খাবার যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই ঘুম। কিন্তু অনেকের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। যে কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। যাঁরা দিনে ৬ ঘন্টার কম ঘুমোন তাঁদের স্থূলতা,উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রয়েছে। প্রতিদিন ৭ ঘণ্টার বেশি এবং ১০ ঘণ্টার কম ঘুমোনো দরকার। 

কেন প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমোতে হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন,'যাঁদের ঘুম কম হয় তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এর কারণ হল ঘুম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ৮ ঘন্টা ঘুমোন তাঁদের হার্ সুস্থ থাকে। তাই কম সময় ঘুমোনোর অভ্যাস থাকলে দ্রুত বদল করুন। রাতের কাজ সকালে করুন। রাতে শুয়ে পড়ুন তাড়াতাড়ি। 

হার্ট অ্যাটাক রুখতে কী করবেন? 

ফাইবার ডায়েট- বেশি করে সবজি খাওয়া শুরু করেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন আনাজ, ব্রাউন রাইস, বিনস, ডাল এবং ফল। 

ওজনে নজর দিন- নিজের ওজনের উপর নজর দিন। ওজন বাড়তে থাকলে সাবধান হোন। ওজনের কম থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।  

Advertisement

মিষ্টি ও ফ্যাট খাবারে নিয়ন্ত্রণ- মিষ্টি ও ফ্যাটজাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ রেখে খান। যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে দেখে নিন তাতে কী আছে। 

অ্যালকোহল খাবেন না- অ্যালকোহল বা রেডওয়াইন নিয়ন্ত্রণ রেখে খান। অতিরিক্ত খাবেন না। সীমিত মাত্রায় রেডওয়াইন খান। 

ধূমপান নয়- ধূমপান করবেন না। ধূমপানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধমনীর কোষগুলি। এতে হার্ট রেট ও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। 

অতিরিক্ত চিন্তা নয়- অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। মাথায় একগাদা চিন্তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এতে ব্লাড প্রেসার ও ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। 

আরও পড়ুন- ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা, ভুঁড়ি কমানো থেকে পেটের গোলমাল, রান্নার এই মশালাতেই উপশম

 

Advertisement