আজকাল হৃদরোগ শুধু বার্ধক্যের সমস্যা নয়, তরুণরাও ক্রমশ আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১.৭৯ কোটি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। এর মধ্যে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন জরুরি, তেমনি নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাও সমানভাবে প্রয়োজনীয়।
যে তিনটি পরীক্ষা জরুরি:
১. শারীরিক পরীক্ষা ও রক্ত পরীক্ষা
হৃদযন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়নের প্রথম ধাপ হলো নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা। চিকিৎসক হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং নাড়ি পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ভিটামিন, খনিজ এবং হার্ট মাংসপেশীর ক্ষতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এসব পরীক্ষা প্রাথমিক অবস্থায় ঝুঁকি শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
২. ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি)
ইসিজি হলো দ্রুত ও ব্যথাহীন একটি পরীক্ষা যা হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, এটি অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা রিদম ডিসঅর্ডার শনাক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর। পরীক্ষার সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইলেকট্রোড বসানো হয় যা হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপের সঠিক চিত্র তুলে ধরে।
৩. লিপিড প্রোফাইল
এটি একটি রক্ত পরীক্ষা যা LDL (খারাপ কোলেস্টেরল), HDL (ভালো কোলেস্টেরল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নির্ণয় করে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় ধমনিতে চর্বি জমছে কি না এবং ভবিষ্যতে হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা। ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসক জীবনধারার পরিবর্তন কিংবা ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ডাক্তাররা বলছেন, পরিবারের কারও যদি আগে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে অথবা বয়স ওজন নির্বিশেষে ধূমপান ও অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকলে সতর্ক হওয়া উচিত। সময়মতো পরীক্ষা করালে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।