হার্ট অ্যাটাকেক ক্ষেত্রে আজকাল অনেকের দেহেই স্টেন্ট সার্জারি করে থাকেন চিকিৎসকেরা। মূলত সরু ধমনী খোলার জন্য হৃৎপিণ্ডে স্টেন্ট ঢোকানো হয়। স্টেন্ট ঢোকানোর প্রক্রিয়াটিকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়। স্টেন্ট হল একটি ধাতব জাল বা যন্ত্র যার সাহায্যে ডাক্তাররা সরু ধমনীর ব্লকেজ খুলে দেন। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিতে সাধারণত ৬০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না এবং বেশিরভাগ রোগীকে এক বা দুই দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এনজিওপ্লাস্টির পর সুস্থ হয়ে ওঠা সাধারণত একটি সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়া। তবে কিছু সাধারণ জটিলতার দিকে নজর দেওয়া দরকার।
স্টেন্ট সার্জারির পর এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
ডাক্তাররা বলছেন, স্টেন্ট বসানোর পর কয়েক দিন বা এক সপ্তাহের মধ্যে রোগীরা কাজে ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু তাদের প্রায় এক সপ্তাহের জন্য ১০-১৫ পাউন্ডের বেশি ওজন তোসা উচিত নয়। যদি আপনার কাজে দৈহিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার বিষয় থাকে, তাহলে কাজে ফেরার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
স্টেন্ট বনানোর পর কয়েকদিন ক্লান্ত বা একটু দুর্বল বোধ করা স্বাভাবিক এবং কিছু ব্যথা অনুভব করা অস্বাভাবিক নয়। যদি হার্ট অ্যাটাকের কারণে স্টেন্ট বসানো হয়ে থাকে তাহলে কয়েক সপ্তাহ ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। তবে আপনি আপনার স্বাভাবিক রুটিন যেমন হাঁটাচলা, খাওয়াদাওয়া করতে পারবেন। তবে ব্যআয়াম বা কঠিন পরিশ্রম শুরু করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন এক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমান স্টেন্ট বসানোর আগে স্বাস্থ্যের পরিস্থিতির পর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে যদি কিডনির সমস্যা থাকলে বা ডায়ালাইসিস চলে তাহলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। স্টেন্ট বসানোর পর চিকিৎসকেরা অ্যাসপিরিন এবং অ্যান্টিপ্লেটলেট জাতীয় ওষুধ দেন। তবে ক্যাথেটার সাইটে অতিরিক্ত রক্তপাত, ক্ষত বা জ্বর হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
এনজিওপ্লাস্টির পরে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন
এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট বসানোর পর রোগীকে নতুন লাইফস্টাইলে মানিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ধূমপান অভ্যাস থাকে তা ছেড়ে দিতে হবে। দিনে ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকির কারণগুলিও এড়িয়ে চলতে হবে।
আরও পড়ুন - শরীরের ৫ অঙ্গে ব্যথা হলে উপেক্ষা নয়, হতে পারে বড় বিপদ