বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) ও স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। এর জন্য দায়ী বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে- মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত অ্যালকোহল এবং সিগারেট খাওয়া। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে, আপনার শরীরে যে লক্ষণগুলি দেখা যায় তার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনার সতর্ক হওয়া জরুরি। এমন অনেক সমস্যা রয়েছে যা মানুষ ছোট মনে করে উপেক্ষা করে, কিন্তু এই সমস্যাগুলো বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
কোলেস্টেরল (Cholesterol)
কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে উপস্থিত একটি মোমের মতো পদার্থ। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি ধমনীকে ব্লক করে দেয় যার কারণে সঠিক পরিমাণে রক্ত হার্টে পৌঁছায় না এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। খাদ্যতালিকায় ফাইবার, কম চর্বিযুক্ত খাবার রাখা এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করা জরুরি।
ডায়াবেটিস (Diabetes)
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তা হার্টের ক্ষতি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা এবং সময়ে সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)
উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে রক্তচাপের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। যখন রক্তচাপের মাত্রা বেশি থাকে, তখন হার্টকে আরও বেশি কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কম সোডিয়াম এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে, ব্যায়াম করে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এর সঙ্গে, অ্যালকোহল সেবন কমিয়ে দিন, মানসিক চাপ গ্রহণ করবেন না এবং একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
স্থূলতা (Obesity)
স্থূলতার কারণে কোলেস্টেরল, রক্তচাপের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। যার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করতে থাকুন।
ধূমপান (Smoking)
ধূমপানের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, যারা ধূমপান করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২ থেকে ৪ গুণ বেশি। ধূমপান হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, রক্তচাপ বাড়ায়, রক্তনালীর ক্ষতি করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্যায়াম না করা (Not Doing Exercise)
ব্যায়াম না করা এবং কোনও শারীরিক কার্যকলাপ না করার কারণেও হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে। শারীরিক পরিশ্রম করেও স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ব্যায়াম করলে শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও কমে যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭৫ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।