সেই প্রাচীনকাল থেকেই টাক পড়াকে বার্ধক্যের লক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। আজকাল ২৫ থেকে ৩০ বছরের যুবকরাও টাক পড়ার শিকার হচ্ছে। অনেকেরই বিয়ের আগেই প্রায় সব চুল পড়ে যায়। যার জেরে, লোকসমাজে অনেকসময় বিব্রতও হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এর নেপথ্যে থাকে জেনেটিক কারণ, কিছুক্ষেত্রে থাকে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এই প্রসঙ্গে এক ডায়েটিশিয়ান জানাচ্ছে, চুল পড়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যুবক-যুবতীদের।
এই খাবারগুলি খাবেন না
১. চিনি
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়শই চিনি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটা জেনে অবাক হবেন যে চিনি খাওয়ার ফলে চুল পড়ার সমস্যায় শুরু হয়। এক্ষেত্রে ঠিক শরীরে এনার্জির পেতে ঠিক যতটা মিষ্টি খাওয়া দরকার, ততটাই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
২. জাঙ্ক এবং ফাস্ট ফুডস
অনেকেই জাঙ্ক ও ফাস্ট ফুড পছন্দ করেন। তবে এতে স্বাস্থ্যের খুবই ক্ষতি হয়। এতে উপস্থিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শুধু ওজনই বাড়ায় না, চুলেরও প্রচুর ক্ষতি করে। এতে পাওয়া DHT নামক এন্ড্রোজেন টাক বাড়ায় এবং মাথার তৈলাক্ত ত্বককে মসৃণ করে। এর কারণে লোমকূপ জমাট বাঁধতে থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
৩. দূষিত মাছ
মাছ শরীর ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের যোগান দেয়। কিন্তু যদি দূষিত মাছ খান, তাহলে তাতে উপস্থিত পারদ চুল পড়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই মাছ কেনার সময় সতর্ক থাকুন।
৪. ওয়াইন
তরুণদের মধ্যে মদ্যপানের আসক্তি দ্রুত বাড়ছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়ে তাদের চুলে। আমাদের চুল কেরাটিন নামক প্রোটিন দ্বারা গঠিত। তাই আমরা যদি অ্যালকোহল সেবন করি তাহলে সেটি প্রোটিন সংশ্লেষণে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে চুল শুধু দুর্বলই হবে না, চুলের উজ্জ্বলতাও হারাবে।
৫. কাঁচা ডিমের সাদা অংশ
এতে কোন সন্দেহ নেই যে ডিম খেলে আমাদের শরীর প্রোটিন এবং ন্যাচরাল ফ্যাট পায়। তবে ভুল করেও কাঁচা ডিম কাবেন না। কারণ তাহলে বায়োটিনের ঘাটতি হতে পারে। এছাড়াও কেরাটিনের উৎপাদনও হ্রাস পাবে, যা সরাসরি চুলের উপর প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন - দুধ কফি না ব্ল্যাক? জবাব বলে দেবে আপনি মানুষ কেমন