Hypertension: উচ্চ রক্তচাপের (বিপি) সমস্যাকে উপেক্ষা করা মারাত্মক হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় লাইফস্টাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই বিশেষজ্ঞরাও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রার উন্নতির পরামর্শ দেন। সাধারণ ব্লাড প্রেসার 120/80 mmHg পর্যন্ত থাকা উচিত। ১২০ থেকে ১৪০ সিস্টোলিক এবং ৮০ থেকে ৯০ ডায়াস্টোলিক এর মধ্যে ব্লাড প্রেশার প্রি-হাইপারটেনশন বলা যায় এবং 140/90 থেকে আরওবেশি হাই ব্লড প্রেশার হিসাবে মানা যায়। বয়সের পরিবর্তন তার ভিন্নতা।
অনেকে এই সমস্যার জন্য ওষুধও খান। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ওষুধ ছাড়াই ঠিক করা যায়। শুধু এর জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনিও যদি সেই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন যাদের উচ্চ রক্তচাপের অভিযোগ রয়েছে এবং ওষুধ ছাড়াই এর চিকিৎসা করতে চান, তাহলে নীচে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেন।
১. ওজন হ্রাস
ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে ঘুমোনোর সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল উপায় হলো ওজন কমানো। ওজন কমানো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে যদি আপনি অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হন।
ওজন কমানোর পাশাপাশি কোমরের চারপাশের চর্বির দিকেও নজর দিন, কারণ কোমরের চারপাশের চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।
২. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ মিনিট বা প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিটের ব্যায়াম করলে রক্তচাপ হ্রাস পায়। এতে রক্তচাপ প্রায় ৫ থেকে ৮ মিমি এইচজি কমানো যায়। কিন্তু ব্যায়াম বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ আবার বাড়তে শুরু করে, তাই ব্যায়ামকে আপনার রুটিন করুন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
গোটা শস্য, ফলমূল, শাকসবজি এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ নয়, তবে আপনি যদি একটু পরিশ্রম এবং নিয়ন্ত্রণে এটি করেন তবে আপনি সহজেই রক্তচাপ কমাতে পারবেন।
৪. নুন কম খান
খাবারে নুন কম খেলে শুধু রক্তচাপই কমবে না, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করবে। যদি কেউ খাবারে লবণ কম খান, তাহলে তাদের রক্তচাপ প্রায় ৫ থেকে ৬ mm Hg কমে যেতে পারে। সাধারণভাবে, সোডিয়ামকে ২,৩০০ মিলিগ্রাম (mg) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করুন। যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের এর থেকে কম সোডিয়াম খাওয়া উচিত।
৫. অ্যালকোহল পরিমাণ সীমিত
প্রায়শই অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয় না। এমনকি যদি পুরুষরা অ্যালকোহল গ্রহণ অল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন, তবুও এটি তাদের রক্তচাপ কমাতে অনেক সাহায্য করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেন তবে এটি আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৬. ক্যাফেইন গ্রহণ কমাতে
রক্তচাপে ক্যাফেইনের ভূমিকা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। কিন্তু যারা খুব কমই ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বা কফি খান, এই ধরনের লোকেরা যদি মাঝে মাঝে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করেন, তাহলে তাদের রক্তচাপ ১০ মিমি এইচজি বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা কখনো কফি পান করেন না, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত।