ইলিশ মাছের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আর এখন বর্ষাকাল তাই ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছা তো বাড়বেই। ভাজা থেকে ঝাল, ঝোল থেকে ভাপা, যেভাবেই দিক না কেন মাছের রানি ইলিশ সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বাজারে এখন খুব সহজেই ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। খেতে দারুণ সুস্বাদু এই মাছ এখন প্রায় প্রতিদিনই অনেকের পাতে দেখা যায়। যদিও দাম বেশি অনেকের থালায় ইলিশ ওঠেনা। তবে ইলিশ প্রেমীদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। এই মাছ বেশি খেলে হতে পারে নানান ধরনের শারীরিক ক্ষতি।
ইলিশ মাছের একাধিক উপকারীতার পাশাপাশি রয়েছে কিছু অপকারিতা। ইলিশের কারণে কারও কারও অ্যালার্জির প্রবলেম হতে পারে। যাঁদের অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকে, তাঁরা ইলিশ মাছ এড়িয়ে চলবেন। তবে যাঁদের অ্যালার্জির প্রবলেম নেই, গ্যাস হয় না, তাঁরা ইলিশ মাছ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এতে আপনার স্বাস্থ্য উন্নত হবে। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ইলিশ মাছ রাখতে।
অপরদিকে, এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ইলিশ মাছ খেলে বিষক্রিয়া হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে গোটা দেশে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রবণতা গত কয়েক বছর ধরে অনেকটাই বেড়েছে। যা আগে ছিলো না। শ্বাসের সমস্যা, গায়ে গোটা বেরনো, নাক দিয়ে জল, অবিরল হাঁচি, পেটে খিঁচ ধরা, গায়ে জ্বালা-ভাব তৈরি হওয়া, ফোড়া বেরোনোর মতো ঘটনা ঘটে। আর ইলিশ মাছ সামুদ্রিক মাছের মধ্যেই পড়ে।
তবে অপকারের পাশাপাশি ইলিশ মাছ শুধু স্বাদেই উপাদেয়, তাই নয়। ইলিশ আমাদের শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলিশ মাছ একেবারেই গুরুপাক নয়। এই মাছে রয়েছে ভরপুর উপকারী গুণাগুণ। ১০০ গ্রাম ইলিশে থাকে প্রায় ২১.৮ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া রয়েছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং মিনারেল। ইলিশ মাছ হৃদপিণ্ডের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এছাড়াও এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগকে দূরে রাখে।