সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ২২ দিনের ইলিশ সহ সমস্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে গিয়েছে। মাছ ধরতে বেরিয়েছেন জেলেরা। কিন্তু নতুন করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
কেন মিলছে না ইলিশ !
কেন ? কারণ মূলত দুটি, এক ইলিশের মরশুম প্রায় শেষের দিকে। তাই বেশিরভাগ ইলিশ এখন ডিম পাড়া সেরে সমুদ্রে ফিরে গিয়েছে। আর দ্বিতীয়ত ছোট জাল ফেলার উপর এখনও নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে জাল ফেলে ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। ইলিশ ধরা না পড়ায় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। ফলে জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কীভাবে চলবে বছরের বাকি সময়, বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
বড় জালেও মাছ উঠছে না
মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আশা নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়েছিলেন। মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বরগুনার পায়রা-বিশখালি-বালেশ্বর নদীতে ছোট জাল ফেলছেন না জেলেরা। কারণ জাল ফেললেই সরকারি রোষ নজরে পড়বেন তাঁরা।
ইলিশ মিলছে না, হাত খালি
আর বড় জাল ফেলায় ছোট তো নয়ই, বড় ইলিশও ধরা পড়ছে না। তাহলে বড় ইলিশ কোথায় গেল? জেলেদের প্রশ্ন। পায়রা নদীর উপর নির্ভরশীল জেলেরা জানিয়েছেন, নানা রকম বিধিনিষেধ আর আইনের ফলে আমাদের অবস্থা বেহাল। ধার দেনা করে বড় ফাঁসের জাল বানিয়েছেন তাঁরা। এই জাল নিয়ে নদীতে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। একবার জাল ফেললে মাত্র তিন-চারটা ইলিশ উঠছে বলে তাঁদের দাবি। একই রকম দাবি করেছেন, ফুলঝুড়ি এলাকার জেলেরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, নদীতে বড় ইলিশের দেখা পাননি তাঁরা।নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর মাঝারি সাইজের কয়েকটা ইলিশ পেয়েছেন। এমন দিনও গিয়েছে যে একটিও ইলিশ ধরতে পারেননি তাঁরা বলে দাবি তাঁদের।
ইলিশের মরশুম শেষের পথে
এ বিষয়ে সে দেশের মৎস্য কর্তারা জানিয়েছেন, ডিম দেওয়ার সময় হলে ইলিশ নদীতে এসে ডিম পাড়ে। শেষ হলে আবারও সমুদ্রে চলে যায়। এটাই হচ্ছে ইলিশের ধর্ম। সরকারি আইনের উপর তো ইলিশের গতিবিধি নির্ভর করে না। বক্তব্য তাঁর।