Hot and Cold Milk Consume Timing: সমস্ত প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে দুধের বিকল্প নেই। ছোট থেকেই শোনা যায়, দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দুধ পান করলে শক্তি পাওয়া যায়। দুধ পান করলে শরীরে সতেজতা আসে এবং শিথিলতাও পাওয়া যায়। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না, ঠান্ডা নাকি গরম দুধ খাওয়া বেশি লাভজনক, কোনটা ক্ষতিকর। অনেকে মনে করেন গরম দুধ পান করা ঠান্ডা দুধ পান করার মতো স্বাস্থ্যকর নয়, এতে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে কি সত্যিই তাই?
সকাল সকাল ঠান্ডা নাকি গরম দুধ —কোনটা পান করবেন?
সকালে ঠান্ডা দুধ পান করা শরীরের জন্য ভালো। রাতে ঠান্ডা দুধ পান করা আপনার হজমের সমস্যা এবং অস্বস্তি বাড়াতে পারে, ঘুমোতে অসুবিধা হতে পারে। এটি অ্যাসিডিটির বড় কারণ হতে পারেএবং ডিহাইড্রেশনকে উপশম করে।
ঠান্ডা দুধ পান করলে আরও একটি উপকার মেলে তা হল ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা দুধের ক্যালসিয়াম আপনার হজমের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এইভাবে, সেই ক্যালোরি দ্রুত বার্ন করতে পারে। তবে, শীতের সময় এবং ঋতু পরিবর্তনে ঠান্ডা দুধ খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন, যা আসলে আপনাকে ঠান্ডা এবং ফ্লু সংক্রমণ হতে পারে। ঠান্ডা মানে আবার ফ্রিজ থেকে বের করা দুধ খেয়ে নেবেন না। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে খান।
গরম দুধের সমস্যা-উপকার:
গরম দুধ পান করলে গ্যাসের সমস্যা, বুকে ব্যথা হতে পারে। অ্যাসিডিটিও দেখা দিতে পারে।যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে গরম দুধ পান করা খুবই উপকারী হবে। হজমের জন্য খুবই উপকারী। রাতে দুধ পান করার সবচেয়ে বড় সুবিধা অনিদ্রা কেটে যায়। এমন অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, যা রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম দুধ পান করলে ভালো ও পরিপূর্ণ ঘুম আসে। কাজ করতে করতে খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়লে গরম দুধ পান করা শুরু করা উচিত। বিশেষ করে শিশুদের প্রতিদিন দুধ খাওয়াতে হবে। তবে গরম না হয়ে উষ্ণ দুধ খাওয়ান।