scorecardresearch
 

Hot Or Cold Milk Which One is Good: গরম না ঠান্ডা দুধ, কখন কোনটা খেলে বেশি উপকার?

গরম না ঠান্ডা দুধ, কোনটা খেলে ভাল ঘুম, ব্য়থামুক্তি থেকে হজমে উপশম। দুধ স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর। ক্যালসিয়াম, প্রোটামিন, আয়োডিন, পটাসিয়াম রয়েছে এতে। অনেকেই সকালে দুধ খান। কারও কারও আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ না হলে চলে না। 

Advertisement
Cold or Hot Milk- গরম না ঠান্ডা, কোন দুধ খাবেন? Cold or Hot Milk- গরম না ঠান্ডা, কোন দুধ খাবেন?
হাইলাইটস
  • দুধ সুপারফুড।
  • প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
  • দুধ গরম না ঠান্ডা খাবেন?

দুধে রয়েছে বিবিধ পুুষ্টিগুণ। তাই দুধকে এককথায় সুপারফুড বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। প্রতিদিন অন্তত ১ গ্লাস দুধ খাওয়ার পরামর্শও দেন। এতে শরীরে মেলে প্রোটিনের পরিমিত জোগান। দুধে রয়েছে ক্যালশিয়াম। এতে মজবুত হয় হাড়। কিন্তু দুধ গরম খাবেন না ঠান্ডা? এনিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরম না ঠান্ডা খাবেন সেটা নির্ভর করছে কখন এবং কী উদ্দেশ্যে খাচ্ছেন তার উপরে। 

দুধ স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর। ক্যালসিয়াম, প্রোটামিন, আয়োডিন, পটাসিয়াম রয়েছে এতে। অনেকেই সকালে দুধ খান। কারও কারও আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ না হলে চলে না। 

গরম দুধ কখন?

১। ঘুমোতে যাওয়ার আগে 

দুধে তাকে অ্যামিনো অ্যাসিড। ঘুমোনোর আগে দুধপান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরম দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড আরও কার্যকরী হয়ে ওঠে।    

২। হজমের জন্য উষ্ণ দুধ নিন

হজমে সমস্যা হলে রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই গরম দুধ পান করুন। আসলে ঠান্ডা দুধ হজম করা খুবই কঠিন। সেই সঙ্গে দুধে ল্যাকটোজ কমে যায়। ফলে ডায়রিয়া ও বদহজমের মতো সমস্যা হয় না। 

৩। ঘুমের জন্য উষ্ণ দুধ পান করুন

রাতে ভাল ঘুম চান চাইলে উষ্ণ দুধ খেতে হবে। এতে ভাল ঘুম হয়। আসলে দুধে উপস্থিত অ্যাসিড ঘুমের অনুঘটক সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করে। যা মনকে শান্ত রাখে এবং ভাল ঘুম হয়।

৪। সর্দির দাওয়াই

গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিলে সর্দি থেকে উপশম মেলে। এতে থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া উপাদানও।   

৫। মহিলাদের পিরিয়ডের ব্যথায়

মহিলাদের পিরিয়ডের সময় গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে নিন। উপকার পাবেন। দুধ টক্সিন বাইরে বের করে দেয়। পেটের ব্যথা থেকেও উপশম দেয় মহিলাদের।      

Advertisement

ঠান্ডা দুধ কখন? 

১।  অ্যাসিডিটি দূর করতে

পেটে অ্যাসিডিটির কারণে হওয়া জ্বালাপোড়া উপশমে ঠান্ডা দুধ উপকারী হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে খাওয়ার পর আধা গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে পাকস্থলীতে তৈরি অ্যাসিড দূর হয়। অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা কমায়। পেটে আলসার বা অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির জন্য উপকারী ঠান্ডা দুধ। ঠান্ডা দুধে ইসবগুলও মিশিয়ে নিতে পারেন। দূর হবে হজমের সমস্যা। 

২। শরীর চনমনে রাখতে

ঠান্ডা দুধ খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না। ঠান্ডা দুধে তাকে ইলেক্ট্রোলাইটস। ফলে শরীরে ডি-হাইড্রেশন হয় না। সকালে ঠান্ডা দুধ খাওয়ার সেরা সময়। শীতে ঠান্ডা দুধ খাবেন না।       

৩। ওজন কমাতে

ঠান্ডা দুধ শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাই এতে ওজন কমে। এক গ্লাস দুধ খেলে পেট ভরা থাকে। খিদে পায় না। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। 

কখন খাবেন না? 

সকাল হল ঠান্ডা দুধ খাওয়ার উপযুক্ত সময়। তবে সর্দিকাশি জ্বর থাকলে ঠান্ডা খাবেন না।

রাতে ঠান্ডা দুধ পরিপাকতন্ত্রকে বিঘ্নিত করতে পারে। যার ফলে ঘুমোতে অসুবিধা হয়।

গরমকালে ঠান্ডা দুধ খান। শরীরকে সতেজ রাখে। পিত্ত কমায়। তবে শীতকালে ঠান্ডা দুধ খাবেন না। বরং গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঠান্ডা ও গরম দুধ শরীরের জন্য উপকারী। তবে সময় ও ঋতু দেখে খাওয়া উচিত। যেমন সর্দিকাশিতে ঠান্ডা দুধ খেলে কোনও লাভ হয় না।   

আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে এই বদল করুন, দ্রুত সারবে


Advertisement