প্রতীকী ছবি (সৌজন্য: এআই) শিশুদের বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে, প্রতিটি বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় চিন্তা হল তাদের স্মার্ট, শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখার জন্য কী খাওয়ানো উচিত। তাদের মনকে তীক্ষ্ণ করতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে শক্তিশালী করতে শিশুর খাদ্যতালিকায় কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত? এই প্রশ্নগুলি প্রতিটি পরিবারে বার বার উঠে আসে। একটি সুপারফুড আছে যা আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়, তা হল ডিম।
ডিম পুষ্টির ভাণ্ডার। একজন বাড়ন্ত শিশুর যা যা প্রয়োজন, সেই সবকিছুই রয়েছে। যেমন- প্রোটিন, ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং মস্তিষ্ক-বৃদ্ধিকারী পুষ্টিকর কোলিন। এই কারণেই চিকিৎসক এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা সব সময় শিশুদের খাদ্যতালিকায় ডিম অবশ্যই রাখার পরামর্শ দেন। এগুলি তাদের মস্তিষ্ক, শরীর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। জেনে নিন,ডিম কীভাবে শিশুর মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন কতটা খাওয়া উচিত।
ডিম কি সত্যিই মস্তিষ্কের জন্য ভাল?
ডিমে প্রোটিন, কোলিন, ভিটামিন বি১২, লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে। এগুলো শিশুর মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করে এবং তাদের শেখার, মনে রাখার এবং মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অর্থ হল যে শিশুরা প্রতিদিন ডিম খায় তারা আরও মনোযোগী, সক্রিয় এবং শিক্ষাগতভাবে দক্ষ হয়। এই কারণেই চিকিৎসকরা প্রতিদিন শিশুদের খাদ্যতালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।
ডিমের কোন পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে?
কোলিন
ডিমে থাকা কোলিন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা স্মৃতিশক্তি এবং শেখার উন্নতি করে।
ভিটামিন বি১২
এটি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
লুটিন এবং জিএক্সানথিন
এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ঘনত্ব বাড়ায়।
প্রোটিন
ডিমের প্রোটিন শরীর এবং মস্তিষ্ক উভয়ের বিকাশে সহায়তা করে।
ডিম শিশুর মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে পারে। কারণ এতে থাকা কোলিন এবং ভিটামিন বি১২ মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। লুটিন এবং জিএক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি আপনার শিশুর মস্তিষ্ককে চাপ এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করে, তাদের আরও মনোযোগী এবং সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে।
শিশুদের প্রতিদিন কতটা ডিম খাওয়া উচিত?
চিকিৎসকেরা শিশুদের প্রতিদিন ১ থেকে ২টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১-৩ বছর বয়সী শিশু: প্রতিদিন ১টি ডিম যথেষ্ট।
৪-৮ বছর বয়সী শিশু: প্রতিদিন ২টি পর্যন্ত ডিম দেওয়া যেতে পারে।
আপনার শিশু যদি মুসুর ডাল, মুরগি মাংস বা মাছের মতো খাবারও খায়, তাহলে সপ্তাহে ৪-৫ বার ডিম দিতে পারেন। এতে তাদের কোলেস্টেরল বাড়বে না, বরং তাদের মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং কোলিন সরবরাহ করবে।
গবেষণা কী বলে?
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত ২০২৩ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়মিত ডিম খায় তাদের কোলিনের মাত্রা ভাল থাকে এবং তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এর অর্থ হল প্রতিদিন একটি ডিম শিশুর স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং শেখার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে।