Water For Uric Acid: জলেই কমে যায় ইউরিক অ্যাসিড, ওষুধ না-ও লাগতে পারে, দিনে কত গ্লাস খাবেন?

পান বাড়াতে হবে। তাহলেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল। কমবে গাউটের ব্যথা-বেদনা।

Advertisement
জলেই কমে যায় ইউরিক অ্যাসিড, ওষুধ না-ও লাগতে পারে, দিনে কত গ্লাস খাবেন?
হাইলাইটস
  • ইউরিক অ্যাসিডের জন্য হতে পারে গাউট আর্থ্রাইটিস
  • ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকার জন্য কিডনিতে পাথর জমে যেতেও পারে
  • বেশি উপকার পেতে চাইলে লেবু জল অবশ্যই খান

ইউরিক অ্যাসিড একটি জটিল অসুখ। এই সমস্যাকে কাবু করতেই হবে। নইলে পায়ের গাঁটে গাঁটে জমে যেতে পারে ইউরিক অ্যাসিড। যার ফলে পিছু নিতে পারে তীব্র ব্যথা, যন্ত্রণা। এই সমস্যাকে গাউট আর্থ্রাইটিস বলে। 

তবে এখানেই শেষ নয়, ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকার জন্য কিডনিতে পাথর জমে যেতেও পারে। আর সেটাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তাই যে ভাবেই হোক কমাতে হবে ইউরিক অ্যাসিড। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে জল পান বাড়াতে হবে। তাহলেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল। কমবে গাউটের ব্যথা-বেদনা।

এখন প্রশ্ন হল, দিনে ঠিক কতটা পরিমাণে জল খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমবে? সেই উত্তর জানতে পড়ুন।

ইউরিক অ্যাসিডে কতটা জল? 
যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি রয়েছে, তাঁরা দিনে ৩ লিটার বা ১২ গ্লাস জল খান। এর থেকে বেশি খেতে পারেন। তবে এর থেকে কম খাওয়া চলবে না। এই নিয়মটা মেনে চললে বেশি পরিমাণে মূত্র তৈরি হবে। আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে ইউরিক অ্যাসিড।

লেবু জলও চলতে পারে
বেশি উপকার পেতে চাইলে লেবু জল অবশ্যই খান। এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন ইউরিক অ্যাসিডকে কাবু করার কাজে একাই একশো। তাই নিয়মিত লেবু জল খেলে অনায়াসে সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।

কারা সাবধান?
ইউরিক অ্যাসিডে বেশি জল খেতে হবে। কিন্তু তাই বলে আবার সবাই এই নিয়মটা মানতে শুরু করবেন না। নির্দিষ্ট করে বললে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা হার্ট ফেলিয়রের সমস্যা থাকলে বেশি জল খাওয়া চলবে না। কারণ, এই দুই অসুখে বেশি জল খেলে আদতে শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে। তাই সাবধান হন। 

ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যান
ইউরিক অ্যাসিড যদি অনেকটা বেশি থাকে, তাহলে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। যতদিন না চিকিৎসক ওষুধ বন্ধ করতে বলেন, তত দিনই চালিয়ে যান ওষুধ। এক্ষেত্রে শুধু জল খেলে চলবে না। 

Advertisement

এছাড়া খাওয়া যাবে না পাঁঠার মাংস, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, মদ ইত্যাদি। ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকার কাজে এগিয়ে যাবেন।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

POST A COMMENT
Advertisement