এখন ডায়াবেটিস-সুগার ঘরে ঘরে। আর ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের খাওয়া-দাওয়ায় অনেক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। খাবার বলতেই প্রথমে ভাতের (Rice) কথা আসে। রোজকার খাদ্যতালিকায় ভাতের পরিমাণ কতটা হওয়া উচিত, তা ঠিক করে উঠতে পারেন না বহু রোগী। খাবারের মধ্যে থেকে রোজ কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কতটা গ্রহণ করতে পারবেন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশের মূল প্রশন হল, ডায়াবিটিস আক্রান্তরা কি চাল ও গমের মত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত? উল্লেখ্য, কার্বোহাইড্রেটের কারণে গ্লুকোজ ভেঙে যায় ও তা রক্তের মধ্যে প্রবাহিত হয়। চিনি ও স্টার্চ রক্তে শকর্রার মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাই চাল ও গমের মত খাদ্য খাওয়ার আগে দুবার ভাবতে হয় সুগাররোগীদের।
তবে চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর কাঁচা চাল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি দিনে কমপক্ষে ৩০ গ্রাম কাঁচা চাল খেতে পারেন, তাহলে ওষুধের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ৩০ গ্রাম চাল নিতান্তই কম নয়, এই পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করলে গমের তৈরি ৩০টি রুটির সমান কার্বোহাইড্রেট থাকে। চাল থেকে গ্লুকোজ শোষণের হার বেশি হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ গ্রাম কাঁচা চালের জন্য একটি অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে দিনে কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার রোগীর উচ্চতা, ওজন, ব্যায়ামের নিয়ম ওওষুধের উপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দিষ্টি সময়ের ব্যবধানে ছোট অংশে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত, চিকিত্সকরা ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সম্পূর্ণভাবে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা এড়ানোরই নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস রোগীদের আবশ্যই কার্বোহাইড্রেটের গুণমান ও পরিমাণের দিকেও নজর দেওয়া উচিত।
চিনি, পরিশোধিত ময়দা, আলু, কলা, জিঞ্জার ব্রেড, মধু, জুজ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করা সুগার রোগীদের জন্য বিষের সমান। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে ডায়াবেটিস রোগীদের জটিল শর্করা যেমন গোটা শস্য, ডাল, লেবু, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।