প্রস্টেট ক্যান্সার (Prostate Cancer) নিয়ে উব্দেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই রোগ ছিল প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী রসিদ খানও (Rashid khan)। মঙ্গলবার তিনি মারা যান। অনেকক্ষেত্রেই এই রোগের উপসর্গ বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে ঝুঁকি আরও বাড়ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রস্টেট ক্যান্সার খুব ধির গতিতে বাড়তে থাকে। ফলে সহজে ধরা পড়ে না। ফলে কিছু সময়, এর ফল সাংঘাতিক হতে পারে। তবে শুরুতেই এর চিকিৎসা করাতে পারলে সমস্যা দূর হয়।
কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
যত তাড়াতাড়ি এই রোগের চিকিৎসা হবে ততই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। প্রস্রাব করতে সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোতে দেখা যেতে পারে। বীর্যের সঙ্গে বেরোতে পারে রক্ত। এই সমস্ত লক্ষণ দেখলেই সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সময় লাগালে সমস্যা আরও বাড়বে।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
পরিবারের কারোর ক্যান্সার থাকলে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি। বেশি বয়সে অনেক সময়ই এই রোগ দেখা যায়। ৫০ পেরলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। শরীরে অনেক বেশি ফ্যাট থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ধুমপানও যে কোনও ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
কীভাবে রোগ ধরা পড়বে?
এই লক্ষণগুলি দেখা গেলে প্রথমেই পিএসএ টেস্ট করাতে হবে। এটি একটি রক্ত পরীক্ষা। যদিও ক্যান্সার কিনা, বা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে বায়োপসি করতে হবে। এ ছাড়াও সিটি স্ক্যান, এমআরআই ও আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা যেতে পারে।
কীভাবে এই রোগের চিকিৎসা হতে পারে?
ক্যান্সার যদি ধরা পড়ে তা হলে দেখতে হয়, তা কোন স্টেজে রয়েছে। অপারেশন করে প্রস্টেট বাদ দিতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। যদিও অনেকক্ষেত্রেই তা করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে, রেডিয়েশন বা কেমো থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়। যদিও এরকম কিছু হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।