scorecardresearch
 

Chicken Pox Prevention: এটাই 'বসন্ত রোগ'-এর সময়, চিকেন পক্স থেকে কীভাবে বাঁচবেন, জেনে নিন

Chicken Pox Prevention: সরস্বতী পুজো শেষ। খাতায় কলমে এখনও মাঘ মাস থাকলেও বাতাসে বসন্তের হাওয়া। ফুরফুরে আবহাওয়ার মধ্যে একটাই দুশ্চিন্তা বসন্তের সৌন্দর্যের আড়ালো লুকানো ভাইরাস। এই সময় নানা রকম ভাইরাস সক্রিয় থাকে। বাতাসে বিষ। আর সবচেয়ে বেশি এই সময় যে রোগ গ্রাস করে তার নাম বসন্ত বা চিকেন পক্স। কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই ভাইরাসের?

Advertisement
'বসন্ত এসে গেছে,' বসন্ত রোগ থেকে কীভাবে বাঁচবেন জেনে নিন 'বসন্ত এসে গেছে,' বসন্ত রোগ থেকে কীভাবে বাঁচবেন জেনে নিন
হাইলাইটস
  • শীতের বিদায়, বসন্ত এসে গেছে
  • বসন্ত রোগ থেকে কীভাবে বাঁচবেন
  • জেনে নিন চিকেন পক্স থেকে বাঁচার উপায়

Chicken Pox Prevention: সরস্বতী পুজো শেষ। খাতায় কলমে এখনও মাঘ মাস থাকলেও বাতাসে বসন্তের হাওয়া। ফুরফুরে আবহাওয়ার মধ্যে একটাই দুশ্চিন্তা বসন্তের সৌন্দর্যের আড়ালো লুকানো ভাইরাস। এই সময় নানা রকম ভাইরাস সক্রিয় থাকে। বাতাসে বিষ। আর সবচেয়ে বেশি এই সময় যে রোগ গ্রাস করে তার নাম বসন্ত বা চিকেন পক্স। এটা একটি ভেরিসেলা-জোস্টার নামক ভাইরাস থেকে হয়। শুরুতে জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ, শরীর কমজোরি হতে থাকে, পেটের গন্ডগোল দেখা দেয়। কিন্তু যখন পক্সে ফোস্কা বেরনো আরম্ভ হল তখন আর রক্ষা নেই। ভোগাবে অন্তত ৭-১০ দিন আর তারপর সেরে উঠলে ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্রাম নিতে হবে ২১ দিন। ছোট বাচ্চার হলে কিছুটা রক্ষে। কারণ কমের উপর দিয়ে যাবে, কিন্তু বয়সকালে হলে প্রচুর ভোগান্তি, সারা গায়ের এই ফোস্কা সারতে বহুদিন সময় নেয়। আর তারপর সেই দাগ যেতেও অনেক সময় লাগে।

এই রোগ যে ভাইরাসের দরুন ছড়ায় সেটা মূলত এই শীতের শেষ আর গরমের শুরুর সময় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। আর যাঁর শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তাঁর পক্সের ঝুঁকি অনেক বেশি। এই রোগ ভাইরাল এবং ছোঁয়াচে।

একজনের থেকে কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?

১. রোগীর পক্সের ফোস্কার সংস্পর্শে এলে।

২. রোগীর কাশি বা হাঁচি থেকে।

৩. রোগীর ব্যবহার করা জিনিসের ব্যবহার করলে।

৪. গর্ভবতী মায়ের থেকে শিশু এবং নবজাতক শিশুর হতে পারে যদি জন্মোত্তর মায়ের এই রোগ হয়।

যেহেতু এটা একটা প্রাকৃতিক ভাইরাস তাই সাবধানতা অতি বাঞ্ছনীয়। অনেকেরই ধারণা চিকেন পক্স জীবনে একবার হয়। ২ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও কারণে ভাইরাস সাপ্রেসড রয়ে গেলে তাঁদের ২-৩ বারও চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Advertisement

প্রাকৃতিক উপায়ে ভাইরাস রুখে দিন

এই সময় প্রকৃতিও অনেক কিছু জোগান দেয় আমাদের এই ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যেমন সজনে ফুল, সজনে শাক, নিমপাতা আর করলা। সঙ্গে শীতের কমলালেবু আর আমলকি থেকেও ভিটামিন সি-এর মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো যায়। আমরা যদি সঠিকভাবে এগুলো খাই তাহলে বসন্ত হওয়ার সম্ভাবনা একটু কমে যায়।

হোমিও ওষুধ

ভেরিওলিনাম ২০০ এমএল নামক একটি ওষুধ ৭ দিন- শিশুদের ক্ষেত্রে ২টি করে বড়ি, আর বড়দের ক্ষেত্রে ৪টি করে বড়ি দিনে দু’বার খেতে হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ৭ দিন খেয়ে নিলে নিশ্চিন্ত।

রোগ হয়ে গেলে যখন রোগীর ফোস্কা শুকতে শুরু করে, তখন খুব সাবধানতার সঙ্গে ওগুলো একটা দেশলাই বাক্সে জমিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত, কারণ এথেকে রোগ অন্যের শরীরে ছড়াতে পারে।

আয়ুর্বেদে কীভাবে বসন্ত রোগ রুখবেন?

এই রোগ মূলত ছোট বাচ্চাদের আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দু’বছরের বাচ্চাদের হয়। বড়দেরও হলেও কম হয়। তার কারণ হল, বাচ্চা বয়সে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম হয়। এই জন্য চিকেন পক্সের ভ্যাকসিন বাচ্চাদের ১২-১৫ মাসে একবার আর ৪-৬ বছর বয়সে আর একটা দেওয়া হয়। কিন্তু যেহেতু অনেকে এটা নেন না তাই ভবিষ্যতে চিকেন পক্স হওয়ার সম্ভাবনা থেকে। তাই শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে আয়ুর্বেদিক উপায় কিছু রয়েছে তা মেনে চলা প্রয়োজন। এগুলি হল-

১. তুলসি অ্যান্টিভাইরাস, তাই তুলসি পাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ানো।

২. গুলঞ্চর রস অর্ধেক চায়ের চামচ সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ানো।

৩. গুলঞ্চর পাউডার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ান।

এই সময় কী কী খাবেন না

বয়স যাই হোক, ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে দু’টি জিনিস খাওয়া একদম বন্ধ। তাহলে চিকেন পক্সের সম্ভাবনা কিছুটা রোধ হয়। তা হল-

১. পাঁঠার মাংস

২. দুধ বা যে কোনও রকম দুধের তৈরি জিনিস

 

Advertisement