ভারতীয় পরিবারে প্রতিদিন ভাত খাওয়ার রীতি রয়েছে এবং বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এটি প্রিয়। ভারতীয়দের প্রধান খাবারগুলির মধ্যে একটি, ভাত বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষণ করা হয়। তবে চাল পোকামাকড়মুক্ত রাখা অনেক সময় কঠিন। ছোট পোকামাকড়, যেমন ধানের পোকামাকড় এবং আর্দ্রতা চাল নষ্ট করে দিতে পারে। এর ফলে চালে পোকামাকড় হতে পারে। এমনকী এর স্বাদ এবং সতেজতাও হ্রাস পেতে পারে, তবে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই।
কিছু সহজ এবং কার্যকর উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি চাল নিরাপদে এবং তাজা রাখতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলি কেবল চালের সতেজতা বজায় রাখে না, পোকামাকড়কেও দূরে রাখে। জেনে নিন কিছু হ্যাকশ, যা অবলম্বন করে পোকামাকড় এবং পচন থেকে চালকে রক্ষা করতে পারেন।
নিম বা তেজপাতা
আপনার চালের পাত্রে কিছু নিম পাতা বা তেজপাতা যোগ করুন। এই পাতাগুলিতে সংক্রামক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি পোকামাকড় প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে এবং পোকামাকড় দূরে রাখতে সহায়তা করে।
রসুন
চালের বাক্সে খোসা ছাড়ানো রসুনের কোয়া যোগ করলে পোকামাকড় দূরে রাখা যায় এবং ভাত তাজা থাকে।
শুকনো লঙ্কা বা গোলমরিচ
আপনার ভাতের পাত্রে ৮-১০টি শুকনো লঙ্কা বা কিছু গোলমরিচ করলে পোকামাকড়ের প্রভাব কমতে পারে।
হলুদের টুকরো
চালের পাত্রে ৩-৪টে গোটা হলুদ রাখলে পোকামাকড় দূরে রাখাও সাহায্য করতে পারে।
দেশলাইয়ের কাঠি
দেশলাইয়ের কাঠি একটি পুরনো কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি যা আজকাল মানুষ আবার ব্যবহার শুরু করেছে। যদি আপনি চালের কৌটো বা ড্রামে ৮ থেকে ১০টি দেশলাইয়ের কাঠি রাখেন, তাহলে পোকামাকড় এতে আক্রমণ করে না। এটি ঘটে কারণ দেশলাইয়ের কাঠিতে সালফার থাকে, যা পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে।
বোরিক অ্যাসিড
বোরিক অ্যাসিড এমন একটি প্রতিকার যা অনেকেই জানেন না, তবে এটি খুবই কার্যকর। এর জন্য, আপনাকে সামান্য বোরিক অ্যাসিড পাউডার নিতে হবে এবং একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে ভাতের পাত্রের মাঝখানে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিটি ভাতে ইতিমধ্যে উপস্থিত পোকামাকড় দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু মনে রাখবেন, যদি আপনি এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেন, তাহলে ভাত রান্না করার আগে ৪ থেকে ৫ বার ভাল করে ধুয়ে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।