সাধারণ খাবার, যেমন ভাত–রুটির মতো বিভিন্ন শর্করা এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, বাদাম, বীজের মতো প্রোটিন থেকেই দৈনিক চাহিদার অনেকটুকু তেল পাই আমরা। ফলে রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করার খুব বেশি দরকার আর থাকে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময়ই বেশি তেল খরচ হয়ে যায়। যদিও তেল খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। ১ গ্রাম তেল বা চর্বি থেকে ৯ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। অধিক তেল-চর্বি খাওয়া মানে অধিক ক্যালরি। এ ছাড়া উচ্চতাপ দিয়ে রান্না ভোজ্যতেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কীভাবে রান্নায় তেল কমাবেন আসুন শিখে নিই।
১. ননস্টিক পাত্র বা ফ্রাইপ্যানে সামান্য পরিমাণ তেল ব্রাশ করে, ঢাকনা ব্যবহার করে সহজেই রান্না করা যায়। এ ছাড়া আজকাল রোস্টিং প্যান বা এয়ার ফ্রায়ারও ব্যবহার করা হয় কম তেলে রান্নার জন্য।
২. অনেক খাবার তেল দিয়ে কষিয়ে অথবা ডুবো তেলে না ভেজে তেল ছাড়া বা খুব সামান্য তেল ব্যবহার করে বেক করে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে মাছ-মাংস ও সবজি সেদ্ধ বা ভাপিয়ে নিয়ে তারপর পছন্দ অনুযায়ী উপকরণ মিশিয়ে বেক করে নিলে তেলের ব্যবহার সীমিত করা যায়।
৩. বোতল থেকে সরাসরি রান্নার পাত্রে তেল না ঢেলে দিয়ে চামচ দিয়ে মেপে নিন। এতে দৈনিক হিসাব রাখা সহজ হবে।
৪. খাবার রান্না করার সময় যেসব মশলা সচরাচর ব্যবহার করা হয়, সেসব তেলের বদলে একটু একটু করে জল দিয়ে কষিয়ে নিয়েও তেলের ব্যবহার কমানো যায়।
৫. শাকসবজি থেকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। কিন্তু উচ্চতাপে অনেকক্ষণ রান্না করলে অধিকাংশ পুষ্টি উপাদানই নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিনের খনিজ লবণ ও ভিটামিন পেতে শাকসবজি ভাপ দিয়ে খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান মেলে। এ ছাড়া স্যালাদ ও স্যুপ করে খেলেও অতিরিক্ত তেলের প্রয়োজন হয় না।