Stay Fit: হোল নাইট ঠাকুর দেখেও থাকবেন এক্কেবারে ফিট, নামী ডাক্তারের পরামর্শ

রাত জেগে ঠাকুর দেখার পরের দিনটা খুবই খারাপ যায়। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে একাধিক সমস্যা বলে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল। সেই সমস্যা সমাধানের পথও দেখালেন তিনি।

Advertisement
হোল নাইট ঠাকুর দেখেও থাকবেন এক্কেবারে ফিট, নামী ডাক্তারের পরামর্শfitness after pandal hopping
হাইলাইটস
  • সুগার, প্রেশার থাকলে বাইরের খাবার খাবেন না
  • হাতের কাছে অবশ্যই রাখতে হবে জল
  • একনাগাড়ে বেশিক্ষণ হাঁটবেন না

দুর্গাপুজো আর হোল নাইট ঠাকুর দেখা সমার্থক। সব বয়সী মানুষই রাতের বেলায় বিরাট লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখেন। যার ফলে রাত বাড়তেই রাজপথে নামে জনজোয়ার। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দেখা মেলে লম্বা ভিড়ের। 

যদিও রাত জেগে ঠাকুর দেখার পরের দিনটা খুবই খারাপ যায়। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে একাধিক সমস্যা বলে মনে করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল। 

তিনি বলেন, 'কম বয়সীরা একদিন রাতে ঠাকুর দেখলে তেমন সমস্যা নেই। তবে প্রেশার, সুগার নিয়ে রাতে ঠাকুর দেখলে সমস্যা রয়েছে। আসলে রাতে অত্যধিক নুন সমৃদ্ধ, ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খেলে সুগার, প্রেশার বৃদ্ধি পেতে পারে। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিস রোগীরা ওষুধ বা ইনসুলিন নিয়ে অতিরিক্ত হাঁটার ফলে হতে পারে সুগার ফল।'

এছাড়া সারারাত ঘোরার ফলে গা ম্যাজ ম্যাজ করতে পারে। হতে পারে পেটের সমস্যা। এমনকী পিছু নিতে পারে মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা বলে জানালেন ডাঃ রুদ্রজিৎ। 

এখন প্রশ্ন হল, এই ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে কী করবেন? জেনে নিন ডাঃ পালের পরামর্শ।

সমস্যা থেকে দূরে থাকুন এভাবে
১. সুগার, প্রেশার থাকলে বাইরের ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড খাবার খাবেন না। বরং বাড়ির তৈরি হালকা খাবার খেয়ে বাইরে যান। আর ডায়াবেটিস রোগীরা রাতের ওষুধ ও ইনসুলিনের ডোজ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
২. হাতের কাছে অবশ্যই রাখতে হবে জল। বাড়ি থেকে জল নিয়ে বেরন।
৩. একনাগাড়ে বেশিক্ষণ হাঁটবেন না। বরং অল্প সময় হাঁটুন। একটু নিন রেস্ট। তারপর আবার এগিয়ে যান।
৪. বেশি ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো। তাতেই ইনফেকশন থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
৫. শরীরে অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সমস্যা হলে কী করবেন? 
ডাঃ পাল সমস্যা সমাধানের বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন। যেমন ধরুন-
১. পেটের সমস্যা হলে একটা অ্যান্টাসিড খেতে পারেন। পাশাপাশি জল পান করুন পরিমিত।
২. মাইগ্রেন শুরু হলে নিজের এসওএস ওষুধ খান। পাশাপাশি প্যারাসিটামল খাওয়া যায়।
৩. গা ম্যাজম্যাজ করলেও প্যারাসিটামলে রাখুন ভরসা। 

Advertisement

ব্যাস, তাহলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।


 

POST A COMMENT
Advertisement